মংহাইথুই মার্মা,রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রুমা উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারে নিমার্ণাধীন গৃহ দৃশ্যমান নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান’র কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সভায় উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আলী নূর(জয়), ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ও শৈউসাই মারমা, রুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শৈহ্লাচিং ও সাধারন সম্পাদক চনুমং মারমাসহ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বান্দরবানে রুমা উপজেলা হচ্ছে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল ও এ উপজেলার প্রায় সকল জনবসতি সুউচ্চ পাহাড়ে বসবাস করে। ঐ পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রত্যন্ত অঞ্চলেই বাস্তবায়ন হতে চলেছে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহদান কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া প্রথম পযার্য়ের ৭০টি ও দ্বিতীয় পযার্য়ের ২২০টি সহ মোট ২৯০টি ঘর। বর্তমানে ৩৪টি পাড়ায় ২৯০টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। যা একে একে দৃশ্যমান হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে এ গৃহ নিমার্ণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইয়ামিন হোসেন। তার পাশাপাশি তিনি অতিরিক্ত পরিবহন খরচের জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদা পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল প্রথম পযার্য়ে এক লক্ষ একাত্তর হাজার ও দ্বিতীয় পযার্য়ের এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা। যা রুমা উপজেলার জন্য বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর বাজার মূল্যের বিপরীতে বরাদ্ধ অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আলী নূর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এ বরাদ্দে অত্র উপজেলার গৃহ নিমার্ণ করা সম্ভব নয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে তারা অনেক খুশি। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এবং তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয় থেকে যদি বরাদ্দ দেয়া না হত তাহলে আজকে টিনশেড বিল্ডিং এর ঘর পাওয়া সম্ভব হতো না এমনকি ২.০০ শতক জায়গার মালিকও হতে পারত না।