নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষিতে সীমান্তে বাংলাদেশি যেসব পরিবার ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তাদের সরিয়ে নিতে ঝুঁকির পরিস্থিতি ও তাদের নিজস্ব মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে। সে ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে এসে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি এ কথা বলেন।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান।
এর আগে ঘুমধুম ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয়দের ঝুঁকির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে একটি বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। এসময় সাথে ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম।
তুমব্রু সীমান্তে সর্তক অবস্থানে থাকবে বিজিবি, জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে সরকার। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। ঝুঁকির মুখে স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। আপাতত তিনশ পরিবারের নিরাপত্তার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যারা তুমব্রু, ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি ও সীমান্তের খুব কাছের তাদের সরানো হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায়য় থাকা তিনশ পরিবারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলে বাংলাদেশে নিহত ১, আহত ৭।
এর আগে নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।