নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রুমায় পাহাড়ের জুমক্ষেতে ভয়াবহ ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে ! এতে রুমা উপজেলায় ১০ হাজারেও বেশি জুমচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকার জুমচাষিরা দাবি করেছেন হাজার হাজার একর জুমের ধান খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে ইঁদুর।
উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাংসা এলাকায় মার্মা পাড়ার কয়েকজন জুমচাষীদের জুমে গিয়ে দেখা যায় ক্ষেতের একটি ধানের শীষও আর আস্ত নাই, সব খেয়ে শেষ করে আবার অন্য জুমে হানা দিয়েছে ইঁদুরের ঝাঁক।
এরকম রুমা সদর ইউনিয়নের এউনং ম্রো, মেনরন ম্রো ,রেংগ্রি ম্রো, লিয়াংটন খুমি , রুমানা বম পাড়ায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে ইঁদুরের উপদ্রপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার জুমচাষিরা ও সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ক্লাংওয়াই ম্রো । জুমের খেতে ফসল ভুট্টা এবং অন্যান্য উৎপাদিত ফসল খেয়ে ফেলায় খাদ্য সংকট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অংসাপ্রু মার্মা জানিয়েছেন, অনাবৃষ্টির ফলে এমনিতেই জুমে ধানের ফলন অত্যন্ত খারাপ, তার মধ্যে ইঁদুরের আক্রমণ হওয়ায় পাহাড়ে এবার খাদ্য সংকট আতঙ্কের মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা জুমিয়াদের ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের বৃহৎ জনগোষ্ঠী জুমচাষের উপর নির্ভরশীল ফলে ধানের বাম্পার ফলন না হলে দুর্ভিক্ষ নামতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা।
মুয়ালপি ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাওন গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আনুমানিক ৭০ হেক্টর জুমক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ হয়েছে শুধুমাত্র মুয়ালপি এলাকার ব্লকেই। অন্যন্য ব্লকেও একই রকম ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের ভূমিকা/ তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জনাব মোঃ ইউসুফ বলেন, ইতিমধ্যে আক্রমণ হয়ে যাওয়া জুমের জন্য কিছু করার নাই, তবে যে সমস্ত জুমে আক্রমণ হয়নি সে সমস্ত জুমে আক্রমণ প্রতিহতের জন্য চাষীদের পরামর্শ দিয়েছি। ফাঁদ, বিষটোপ এবং এক ধরণের শব্দ ব্যবহার করে ইঁদুরের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য চাষীদের পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
তিনি আরো জানিয়েছেন, কত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপন চলমান রয়েছে।