নানিয়ারচর প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপি পুলিশের দর্শন এবং মূলনীতি হলো অপরাধ দমন এবং অনিয়মকে প্রতিহত করা। এই দর্শন এবং মূলনীতিকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাষ্ট্র গঠন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ পুলিশের নিকট হতে সারা বছরই ইতিবাচক পুলিশিং এর প্রত্যাশা করে থাকে। জনগণের প্রত্যাশা আমাদের দেশে পুলিশিং ব্যবস্থায় এমন কালচার তৈরি করা হবে যেখানে প্রত্যেক সদস্য আধুনিক ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় জনমুখী পুলিশিং এর চর্চা করবে এবং ফলশ্রুতিতে সেখানে জবাবদিহীতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে।
সেই জবাবদিহীতা ও দায়বদ্ধতা থেকে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান থানায় যোগদানের ০৭ মাসের মধ্যে নিজের সততা, মেধা, বিচক্ষণতা কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলার শান্তিকামী মানুষের মন জয় ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানের জানা যায় যে, নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে মোঃ সাব্বির রহমান থানায় যোগদানের পরপরই প্রকাশ্য উপজেলা মাসিক সভা ঘোষণা দিয়েই থানাকে সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত, সাধারন মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তার সততার বিষয়ে উপজেলাবাসীর নিকট কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক গুণসম্পন্ন বড় মনের অফিসার, যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। ঝিনুকের মধ্যে যেমন মুক্তা থাকে, তেমনি কিছু মানবহিতৈষী সাদা মনের মানুষও পুলিশ বাহিনীতে আছে। তেমনি একজন মানবহিতৈষী সাদা মনের পুলিশ অফিসার হলেন নানয়িারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান। মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে তার নেতৃত্বে দিনরাত মানুষের সেবা নিশ্চিত করে চলেছে নানিয়ারচর থানা।
তিনি আইজপি ও পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক মাদক কার্বারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যূদের দমন, বিপুল পরিমাণ ফরমালিনযুক্ত আনারস ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস, চোরাই গরু উদ্ধার, সবজি বাগান প্রকল্প, বৃক্ষরোপন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন জনকল্যানমূখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের ত্যাগ, মানবিকতা কাজ দেখে জনগণ বিমোহিত। তেমনি কোভিড-১৯ যুদ্ধে নানিয়ারচর উপজেলার মতো একটি দুগম ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসী কবলিত বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন কাঁচাবাজার, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকানে বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, হোম কোয়াইন্টনে থাকা রোগীদের বাসায় ওষুধ ও নিত্যপণ্য পৌঁছানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশন ও হোমকোয়ান্টাইন নিশ্চিত, করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির ধর্মীয় বিধি মেনে মৃত ব্যক্তির সৎকার নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব সাথে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নানিয়ারচর থানার পুলিশ কাজ করছে।
নানিয়ারচর থানার ওসি সাব্বির রহমানের ব্যতিক্রম ধর্মীয় কিছু উদ্দেগ্যের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সারাদেশে ফরমালিনমুক্ত আনারস বাজারজাতকরণ, সরকারী নিষিদ্ধ সময়ে মৎস্য নিধন বন্ধ ও করোনা রোগীদের আইসোলেশন ও হোমকোয়ান্টাইনের পাশাপাশি লকডাউনে কঠরতা প্রয়োগের মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলাকে করোনা মুক্ত অঞ্চলে পরিনত করেন। করোনাকালীন সময়ে থানায় সেবাপ্রার্থী সাধারন মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য ভুক্তভোগী সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে সবর্দা পুলিশি সেবা অব্যাহত রাখার জন্য থানা চত্ত্বরে নির্মাণ করেন একটি গোলঘর। তাতে বসে থানা পুলিশ ভুক্তভোগীদের কথা শুনে দ্রুত সমস্যা সমাধান দিয়ে মানবতার দৃষ্টন্ত স্থাপন করেছে।
তার যোগদানের পর বাঙ্গালী-পাহাড়ী শান্তিকামী মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ওসি মোঃ সাব্বির রহমান বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করে নানিয়ারচর জোনের সেনাবাহিনীর সার্বিক সহায়তায় নানিয়ারচর উপজেলার মতো সন্ত্রাসী কবলিত একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থাকা স্বর্ত্ত্বেও আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্টির বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বন্ধে অনেকটা সফল হয়েছেন। এখন এলাকার দীর্ঘদিনের ভূমি বিরোধ মিমাংসাসহ অতিসহজেই এলাকার বহু পুরাতন বিভিন্ন সমস্যা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে। বর্তমানে নানিয়ারচর থানা পুলিশের অব্যাহত অভিযানের মুখে আতঙ্কে চিহ্নিত চোর ডাকাত, খুন ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীগণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান অনেকেই। ভুক্তভোগীরা জানান প্রতিটি গ্রামে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জিডি ও মামলা করতে এখন নানিয়ারচর থানায় কোন অর্থ লাগে না। ওসির সততা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যূ, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই মানুষের মুখে শোনা যায় তার প্রশংসার কথা।
নানিয়ারচর উপজেলার সাধারণ নাগরিকরা বলেন দেশের প্রতিটি থানার ওসি যদি নানিয়ারচর থানার ওসি সাব্বির রহমানের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত এই দেশ হতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি কাজ করে যাচ্ছে দায়িত্ববোধের সাথে, যা মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ। এজন্য তিনি ‘সাদা মনের’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলার সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।
এছাড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যাক্তি হিসাবে বর্তমানে পরিচিত।একটি সূত্র জানিয়েছেন এই সাদা মনের মানুষ কে পুলিশ হিসাবে নয়,আমরা চিনি আমাদের ভাই হিসাবে।