লেখক:আয়েশা সিদ্দিকা
শারীরিক অসুস্থতার সাথে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চবির শিক্ষার্থীরা-দাবি চবির অনেক শিক্ষার্থীর।
আগের মতো ক্যাম্পাস যেতে চায় চবির শিক্ষার্থীরা।জীবনকে আগের মতো গড়তে চায় তারা।ফিরে পেতে চায় প্রাণপ্রিয় প্রকৃতির রাণী চবির সেই চিরচেনা ক্যাম্পাসকে।আগের মতো হয়তো ফিরে পাবে এমনি প্রত্যাশা রাখে চবির শিক্ষার্থীরা।মহামারী কোভিড-১৯ এর জন্য স্থবির হয়ে যায় চবির কোলাহল।
শিক্ষার্থীরা বাসায় থাকতে থাকতে তাদের শারীরিক অসুস্থতার সাথে সাথে মানসিক অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে।কারণ একদিকে বাসায় থাকতে থাকতে শরীরে নানা রকম রোগ দেখা দিচ্ছে আর অন্যদিকে মানসিক প্রেসার পাচ্ছে।অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা তাদের টিউশনের মাধ্যমে শুধু নিজের ভরণপোষণ ছাড়াও ফ্যামিলিতে সহয়তা করতো এখন তাদের অবস্থা করুণ,অনেকে বাবা-মার কাছে নিজেকে বোঝা ভাবছে।আবার অন্যদিকে তাদের নানা ধরনের দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে ,কারণ বিশ্ববিদ্যালয় না খোলায় অনেক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা তাদের রেজাল্ট পাচ্ছে না,অনেক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে আছে,অনেক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সেশনজট হচ্ছে। এসব থেকে কি শিক্ষার্থীরা রেহাই পাবে না এমনি দাবি জানাই শিক্ষার্থীরা।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে সব কিছু চলছে স্বাভাবিক নিয়মে তাহলে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা কেন হচ্ছে না।শিক্ষার্থীরা আগের মতো সবকিছু ফিরে পেতে চায়।তাদের মনের আর্তনাদের কথা কে বুঝবে? এমনি মনের আকুতি হাজারো চবির শিক্ষার্থীদের।যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যেসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে ছিল, তাদের আগের সব পরীক্ষা নিচ্ছে, তবে খোলা হোক বিশ্ববিদ্যালয় -দাবি চবির প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীর।শিক্ষার্থীরা আর বাসায় বসে থাকতে চায় না, তারা স্বচ্ছন্দ জীবন ফিরে পেতে চায়,কিন্তু বাস্তবতার নির্মম পরিহাস চবির শিক্ষার্থীদের আশা এখন হতাশার রুপ নিচ্ছে।
আশায় বাচেঁ জীবন এখন এ প্রবাদবাক্য শিক্ষার্থীদের কাছে আশা এখন হতাশা এমন নিষ্ঠুরতার রুপ নিচ্ছে কোভিড-১৯ এর কারণে।আগের মতো চবির ক্যাম্পাস ফিরে পাব,ফিরে পেতে চাই -এমনি প্রত্যাশা রাখে শিক্ষার্থীরা।