যত্রতত্র গড়ে ওঠা অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো হুট করেই এসব বন্ধ করে দেওয়া যায় না। পরিকল্পনা করে বন্ধের একটি রূপরেখা তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
রোববার (১২ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এসব কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে অনুমোদনহীন বেশিরভাগই প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাখা হবে না। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবো।
‘আর নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ পর্যায়ের অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
যত্রতত্র গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনকে নীতিমালায় আনার প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষা আইনে এসব বিষয় অন্তভুক্ত করা হবে। দেশীয় কারিকুলামে সহজে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় না। এ কারণে কেউ কেউ ইংরেজি কারিকুলাম বা অন্য উপায়ে যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠান খুলছে।
শিক্ষা আইন অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ে তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে অনেকে যানজটের কবলে পড়ে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়। সে কারণে আগামী বছর থেকে সেটি সমন্বয় করে পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করে পেছানো হবে।
এ বছর এসএসসি-সমমান পরীক্ষা জুনে নেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী বছর সেটি আরও এগিয়ে আনা হবে বলেও জানান দীপু মনি।