নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নটিও বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। সমতল এলাকার প্রায় ১১কিলোমিটার জুড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫১বছর পর আলোকিত হয়েছে এই ইউনিয়ন। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের সর্বশেষ ইউনিয়ন।
আজ (১২ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।
জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২কোটি ৭০লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।। দোছড়িতে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে উপজেলার পাঁচটিঁ ইউনিয়নে পৌঁছেছে এই বিদ্যুতের আলো।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর বলেন, উন্নয়ন ধারা ব্যাহতকারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সীমান্ত জনপদ দোছড়ি ইউনিয়নে উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিলাম। সর্বশেষ মোবাইল নেটওয়ার্কের দাবীও খুব শীঘ্রই পূরণ করার ঘোষনা দেন তিনি।
সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে উন্নয়নে বাঁধা একমাত্র দুস্কৃতিকারী হচ্ছে নামে বেনামে গড়ে উঠা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা। সন্ত্রাসীদের কোন আস্তানা যাতে এখানে গড়ে না উঠে সেজন্য জনসাধারণকে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ সাদেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, লক্ষী পদ দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো: ইয়াছির আরাফাত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিল্লুর রহমান, রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল বড়ুয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ, নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান প্রমুখ।
তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন, সদরের রেস্ট হাউসে জেলা পরিষদের অর্থায়নে এমব্রয়ডারী মেশিন, দলীয় নেতাদের অর্থায়নে কম্বল ও মাষ্ক বিতরণ করেন পার্বত্য মন্ত্রী।