রুমা উপজেলায় রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগী ৩৩৬জনের মধ্যে ১৫০জন ভোক্তাভোগী বিভিন্ন মাসের চাল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে চাল বিতরণ কালে এ অভিযোগ উঠে আসে।
চাল বিতরণ কালে ট্যাগ অফিসার চালিপ্রু মারমা উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ সহকারী, রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের সচিব উবানু মারমা, চেয়ারম্যান জিরা বম ও মেম্বার রমেশ ত্রিপুরাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগকারী ভুক্তভোগীরা বলেন, চেয়ারম্যান এর কাছে ভিজিডি চাল না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন কাল পরশু বা সামনে সাপ্তাহে দিব বলে এড়িয়ে যান। বকেয়া চাল না পেয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন।
পরে তাঁরা কয়েকজন দুস্থ নারী নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য ইউএনও কার্যালয়ে যান,তবে তিনি অফিসিয়াল কাজে লামা উপজেলা যাওয়ার কারনে লিখিত অভিযোগ দিতে সম্ভব হয়নি বলে গণমাধ্যমকর্মী জানান।
এ বিষয়ে খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিরা বম’র কাছে গেলে, তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের ইউপি কার্যালয় থেকে একটু দূরে থাকতে বলেন। তিনি আরো বলেন, বকেয়া ভিজিডি চাল না পাওয়ার বিষয়ে ইউএনওকে অবগত করে রেখেছি বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন। এদিকে মহিলা বিষয়কের কর্মকর্তা সুপন চাকমা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে মাসগুলোতে ভোক্তাভোগী চাল পাইনি সে মাসে ভিজিডি কার্ডে চিহ্নিত করে রাখতে বলেছি দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসারদের।
তবে অফিস হিসাবে এ ধরনের বকেয়া থাকার কথা নয়,আমাদের অফিস থেকে সব হিসাব ক্লিয়ার করা আছে। তবে এ ধরনের বকেয়া কিভাবে হলো তা চেয়ারম্যান বলতে পারবে। বিতরণ কালে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার চালিপ্রু মারমা বলেন, আমাদের দায়িত্ব সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে ভিজিডি চাল বিতরণ করা।
কোন কোন মাসে ভোক্তাভোগীদের পাইনি তা ভালো-মন্দ বলতে পারবে মেম্বার ও চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন শিবলী বলেন, ভোক্তাভোগীরা চাল কেন বিতরণ করেন নি,তা চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুনঃ