(রিপন ওঝা,মহালছড়ি)
সারাদেশের ন্যায় প্রতিবছরের মতো খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাতে বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিদ্যার দেবী সরস্বতীপূজার উদযাপন করা হয়।
বর্তমান বিশ্বের করোনা কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে আয়োজনে কড়াকড়ি থাকলেও, পুজোর আনন্দে ছাত্রছাত্রীরা সব মিলিয়ে মহালছড়ি উপজেলার মন্দির, বিভিন্ন এলাকায়, পাড়ায় ও মহালছড়ি সরকারি কলেজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজায় উপস্থিত হয়৷ সরস্বতীর পূজার মন্ত্র বা বাণী বন্দনাকে সামনে রেখে ‘বাঙালির বসন্তের শুরুতে বাসন্তী শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে সেজে তরুণ-তরুণীরা মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছে। পোশাকের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরিধান করেছে। মাস্ক আর স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়েই হবে পুষ্পাঞ্জলি,ভোগ বিতরণ আর নতুন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতেখড়ি দেয়া হয়।
তবে মাষ্টারপাড়ায় সরস্বতী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে এলাকার যুব সমাজের উদোগে মহাপ্রসাদ আস্বাদন করা হয়।
“ওঁ নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে
এই মন্ত্রে বিভিন্ন পূজামন্ডপে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ ১৬ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় একযোগে পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ করেন।
মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় সরস্বতী পূজা উদযাপনে আগ্রহী সনাতনী শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিষ্ঠানে প্রতিমা নির্মান করে পূজা সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি। তাই এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিপুল বিকাশ খীসার সাথে যোগাযোগ করা হলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মন্দিরে ঘট পূজার মধ্যে সম্পন্ন করা হয়।
তবে এ বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ ও এলাকার জনসাধারণ প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা না করাতে দুঃখ প্রকাশ করেন।