রুমা(বান্দরবান)প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে ১কিলোমিটার দূরত্বে সাঙ্গু নদী চর হতে তিন-চার পয়েন্টে বালু উত্তোলন ও তিন কিলোমিটারের দূরত্বে ৯নং ওয়ার্ডে সামাখাল পাড়া পাশ্ববর্তী বগাঝিড়ি থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন করে চলেছে প্রভাবশালী নেতারা। পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে সবোর্চ্চ আদালতে গোপন করে ১বছর ধরে সাঙ্গু নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছিল প্রভাবশালীরা। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো কৌশল বদল করে রুমাখাল মুখ সাঙ্গু নদী চর এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে তিনটি চিহ্নিত চক্র। এ অপতৎপরতা রোধে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে প্রশাসনকে।
আজ মঙ্গলবার(২৩মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে, মুনলাই পাড়া যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে তিন-চারটি পয়েন্ট থেকে ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বালু সরবরাহ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, রুমা উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক পনলাল চক্রবর্তী নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও বিশিষ্ট ঠিকাদার জসিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে ১০-১২জন মিলে বালু উত্তোলন করেছে। অপরদিকে রুমা সদর ইউনিয়নের বগাঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন করে সরকারি রাস্তায় ওপেন করে মেশিন দিয়ে পাথর কংক্রিট করা দেখা মিলে। এতে নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা বলেন, আমাদেরকে ঠিকাদার মংওয়েনু মারমা কাজ করার জন্য পাঠিয়েছে, তাই আমরা দিনমজুরী হিসেবে কাজ করছি। ১কিলো রাস্তার কাজে চারটি কালভার্ট এর কাজে ২-৩হাজারের ফুট পাথর তুলেছি।
বস্তুত বেআইনি হলেও প্রভাবশালী ও দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু মানুষ প্রশাসনের নাকের ডগায় সামাখাল বগাঝিড়ি, রুমাখাল মুখ ও সাঙ্গু নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায়ই সেখানে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও প্রশাসন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ার কারণ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লোক দেখানোর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের পর পর আবারো শুরু হয় পাথর ও বালু উত্তোলন। সাধারন জনগণের প্রশ্ন হলো অভিযান পরিচালনার আগে যদি অপরাধীরা খবর পেয়ে যায়, তাহলে সে অভিযানের অর্থ কি? তাহলে কি শর্ষের ভিতরে রয়েছে ভূত? এই ভূত তাড়াতে কতৃর্কপক্ষকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক এর সাথে সরকারি নাম্বারে দুপুর বেলায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ার বক্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়ে উঠেনি।