নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি নানিয়ারচরে পাহাড় থেকে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছপালা। অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব গাছ কেটে তা পুড়িয়ে উৎপাদন করছেন কয়লা। উপজেলার কয়েকটি চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এসব চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল, বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ, বন্যপ্রাণী ও পাখি। সেই সঙ্গে হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য, কমে যাচ্ছে জমির উর্বরতা। বছরের পর বছর পরিবেশ বিধ্বংসী এমন কাজ চললে পাহাড়ে একসময় জীব বৈচিত্র্য হ্রাস পাবে।
উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১৬ নং টিলা এলাকা ঘুরে চুল্লি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার বুড়িঘাট এলাকায় প্রথমে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি ও বিক্রি শুরু হয়। অথচ সেখানে রয়েছে পরিবারের বসতি। বাড়িঘর থাকা সত্ত্বেও পাহাড়ের ঢালে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি বসানো হয়েছে এসব চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে বনের ও বাগানের গাছ।
গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন অনেকেই,তাছাড়া অনেকেই এ ব্যবসায় ঝুকছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় কয়েকটি কয়লা তৈরির চুল্লি আছে। মাসের পর মাস এসব চুল্লিতে প্রতিবারে গড়ে গাছ পোড়ানো হয় অন্তত ১০০০ মণ বেশি কাঠ। সব চুল্লিতে প্রতি মাসে গড়ে হাজার হাজার মণ গাছ পুড়িয়ে তৈরি করা হয় কয়লা।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২ বছর যাবত ধরে অবাধে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ।এসব কয়লা ট্রাক যোগে ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে অধৈব্য ভাবে পাঠানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় কাইয়ুম হোসেন জানান, আমার আবাদি ধানি জমিনের উপর দিয়ে বিভিন্ন গাছ আনা নেওয়া করা হয়,যা ভবিষ্যৎতে ফসলি জমির ক্ষতি তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়া একটি সূত্রে জানাগেছে,চুল্লির ধোয়া এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে ,শ্বাসকষ্ঠ,হার্টৈর রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে।
এসময় বুড়িঘাট বনবিভাগ কর্মকর্তার সহকারি আব্দুল কুদ্দুস জানান,এই বিষয়ে আমার জানা নেই,কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হচ্ছে ।
এসময় চুল্লি তৈরির মিস্ত্রি এমদাদুল হক জানান,এলাকার প্রভাবশালীদের সমন্বয় রেখে এ অবৈধ ব্যবসা করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে কাকে সমন্বয় রেখে এই অবৈধ ব্যবসা করা হয়,জানতে চায় সুশীল সমাজ।
এ বিষয়ে প্রতিবেদক মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন।