পিডিবি চট্টগ্রাম সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিস্টেম লসের হার ছিল ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ; যা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ। সারাদেশের হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিস্টেম লসের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যা ১১ বছর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ এই সময়ে সিস্টেম লস কমেছে ৫ দশমিক ৬০৮ শতাংশ।
সিস্টেম লস কমার হার
২০০৯-১০ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের হিসাব তো আগেই দেওয়া হলো। এবার বাকি অর্থবছরগুলোর চিত্র দেখা যাক। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসে ৮ এর ঘরে আসে সিস্টেম লসের হার। ওই অর্থবছরে সিস্টেম লস ছিল ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ।
গ্রাহক বেড়েছে দ্বিগুণ
বর্তমানে পিডিবি চট্টগ্রামের আওতাধীন পাঁচটি পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের অধীনে ২১টি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর এবং অন্যান্য ১৬টি বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের আওতায় গ্রাহক আছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৭ জন। অথচ ১১ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরে গ্রাহক ছিল মাত্র ৫ লাখ ১৪ হাজার ৩২১ জন। গ্রাহক বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬৩০ মেগাওয়াট সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেই চাহিদা গিয়ে ঠেকেছে ১ হাজার ৩১৭ মেগাওয়াটে।
বিদ্যুৎ অপচয় কমার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে প্রিপেইড মিটার। চার বছর আগে থেকে এই মিটার স্থাপন শুরু হয়। কিন্তু এখনো ৪০ শতাংশের বেশি গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতার বাইরে। এখন মাত্র প্রায় ৪ লাখ গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার আছে। যত প্রিপেইড মিটার বাড়বে ততই অপচয় কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নানা উদ্যোগের কারণে সিস্টেম লসের হার আরও কমতির দিকে বলে জানান পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘সিস্টেম লস কমাতে আমরা সবসময় তৎপর রয়েছি। নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় গত নভেম্বর মাসে সিস্টেম লস ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। এই সাফল্যে ধরে রাখতে চেষ্টা করছি। আশা করছি পুরোপুরি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা সম্ভব হলে সিস্টেম লস শূন্যের কাছাকাছি চলে আসবে।