নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া, কক্সবাজার:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করেছে। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরানখানী, দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শোক র্যালী, দুপুরে ঘুমধুম হাইস্কুল মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষে প্রায় ৬ শতাধিক মানুষের জন্য গণ ভোজের আয়োজন করা হয়৷
ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব খালেদ সরওয়ার হারেজের সভাপতিত্বে, ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন শিকদার ও ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা শেখ শাহাব উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভা এবং গণভোজে নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। আলোচনা সভা ও গণভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনীর উপর স্মৃতিচারণ করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা তসলিম ইকবাল চৌধুরী।
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ১৫ আগস্ট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শোক দিবস উদযাপন সফল করা হয়। শোক দিবস কে কেন্দ্র করে সম্পুর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির কতিপয় গুটিকয়েক নেতা নামধারী হাইব্রিড ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার করে পোস্ট দেয়। মুহুর্তেই আবার মুছে দেয়। যারা বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচারে নেমেছে, তারা মূলত দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সুবিধা ভোগের জন্য দালালীর উপাধি নিয়েছে।
আমরা ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে উক্ত অপপ্রচারকারীদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে কিভাবে আজগুবি ঘটনার জন্ম দেওয়ার অপচেষ্টা করলেন? আগামী দিনে ঘুমধুম আওয়ামীলীগ নিয়ে কোন ধরণের অপপ্রচারে মেতে উঠলে ওইসব দালালদের ঘুমধুমের মাটিতে প্রতিহত করা হবে বলে সর্তক করেন।
তসলিম ইকবাল চৌধুরী তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা নেতৃত্ব। সে ছাত্রনেতা থেকে জনপ্রতিনিধি এবং জননেতায় পরিণত হয়েছেন। তার হাত ধরে শতসহস্র নেতাকর্মী সৃষ্টি হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির মাটিতে। তসলিম ভাই হেটে গেলেও মিছিলে পরিণত হয়।আর আপনারা যে কয়জন জনবিচ্ছিন্ন নেতা আছেন,কোন দিন ৫/৬ জনের বেশী কর্মী দেখাতে পারেন নি।এমনও আছে, নাইক্ষ্যংছড়িতে অংগ সংগঠনের এক সভাপতি শুধু নিজেই ছাড়া একজন কর্মীও ঘুমধুমে আসলে আনতে পারেন নি।কিন্তু তসলিম ইকবাল চৌধুরী চায়ের দোকানে বসলেও জনসভায় পরিণত হয়।
সুতরাং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, এমন মিথ্যা অপবাদ-অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। মিথ্যাচার করে বেড়ানোর মত কথিত নেতাদের নিকট থেকে জাতি কি আশা করতে পারে? আশা করি ওইসব নেতাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করে বিবৃতি দিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব খালেদ সরওয়ার হারেজ, সহসভাপতি ডাঃশাহ জাহান,সাধারণ সম্পাদক উপেন্দ্র লাল চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবসার কামাল, আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদ হোসেন, ছৈয়দ নুর, এম.ছৈয়দ আলম, আব্বাস উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, আবদুল মালেক,নুরুল হক, ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন শিকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি,কামরুল সোহেল,শেখ শাহাব উদ্দিন, তুহিন ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সরওয়ারসহ ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছােবকলীগ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।