মংহাইথুই মারমা,রুমা প্রতিনিধি,বান্দরবান
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওতাধীন রুমা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৫নং ওয়ার্ডে বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে ভেঙ্গে পরেছে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে গত সোমবার (১৪ আগস্ট) নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রুমা সদর ইউনিয়নের বাজার এলাকার ইডেন রোড, মুসলিম পাড়া, ইউপি এলাকা ও থানা পাড়ার প্রায় ঘর ভেঙ্গেছে ২৫-৩০পরিবার। এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের থেকে নাম তালিকা নেওয়া হলেও জেলা পরিষদ আওতায় আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জিআর খাতে আওতায় আর্থিক সহয়তা নগদ অর্থ এক টাকাও পাইনি এ হতভাগা পরিবারগণ।
ভোক্তাভোগী পরিবারদের অভিযোগ, মেম্বার ও আওয়ামী লীগের হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকর্মী মন গড়া তালিকা নিয়ে বিতরণ করে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক সদর ইউনিয়নের মেম্বার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানিয়েছেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্য সহকারি অফিস কক্ষে জেলা পরিষদে সদস্য জুয়েল বম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বরেন ত্রিপুরা, সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার মোহাম্মদ আবু বকর, ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার মঈন উদ্দিন ময়ূর ও ৩নং ওয়ার্ডে মেম্বার জনমনি ত্রিপুরা উপস্থিতিতে পুরাতন তালিকা বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করা হয়েছে। তবে জুয়েল বম এর ভাষ্যমতে মেম্বারগণ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ভোটার আইডিকার্ড যারা জমা দিবে তারই পাবে নগদ অর্থ, আর যারা আইডি কার্ড জমা দিতে পারবে না তাদের নাম ফাইনাল তালিকা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাই হয়তো অনেকে বাদ পরেছে।
তবে ভোক্তাভোগী পরিবারদের অভিযোগ, যারা তালিকা করেছে তারা আমাদেরকে না জানালে আমরা কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড জমা দিব এবং নাম দেওয়ার শর্তেও বিতরণকালে নাম কেটে দেয়া হলে আমাদের কি আর করা! এ বিতরণে কিছু কিছু লোক স্বজনপ্রীতিদের দেখে তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে।
দুযোর্গ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের রুমা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিআর প্রকল্পের বরাদ্দ ৩ লক্ষ ৫৮হাজার টাকা । তার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ১০৪ পরিবারকে ২হাজার নগদ অর্থ বিতরণ ও অতি ক্ষতিগ্রস্থ ৩০ পরিবারকে ৫হাজার নগদ অর্থ বিতরণ করার জন্য মাস্টার রোল তালিকা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহারিয়া মাহমুদ রনজু এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সম্পুর্ণ বরাদ্দ এসেছে বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা পরিষদে সদস্য জুয়েল বম এর নামে। তবে বিতরণকালে কাদেরকে দেওয়া হয়েছে তা আমাদের কাছে ফাইনাল তালিকাটি এখনো জমা দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানার জন্য বারবার জেলা পরিষদে সদস্য জুয়েল বমকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কল ধরেননি। তাতে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি।
নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সৈয়দ মাহাবুবুল হক সাথে এ বিষয়ে আলাপ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, বিতরণের ফাইনাল তালিকা এখনো আমাদের হাতে আসেনি,তাই আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। তবে খবর নিয়ে জানাব।