নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ভারবোয়াচাপ বন বিহারে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, বুদ্ধ পূজা, সীবলী পূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান ও পিন্ডদানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম। এসময় বন্দুকভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অমর চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি চন্দ্র কুমার চাকমা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মায়াধন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বক্র বাহন চাকমা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা দেড়টায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরি কঠিন চীবর ও কল্পতরু বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মূখর হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ।
মহতী পূণ্যকার্যে কায়িক, বাচনিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা এবং দুর্লভ মনব জীবনকে স্বার্থক গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়ে পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে রাজবন বিহারে আবাসিক ভিক্ষু সুধর্মানন্দ মহাস্থবিরসহ আরো অনেকে ধর্মদেশনা প্রদান করেন।
বৌদ্ধশাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একনিষ্ট ব্রক্ষ্মলোক প্রমাণ উচ্চ স্বর্ণরাশি দান করে যে পূণ্য লাভ হয়ে থাকে তা একটা কঠিন চীবর দানের ফলে লব্দ পূণ্যফলের ষোল ভাগের এক ভাগেরও সমান হয় না। এ কারণে কঠিন চীবর দানকে দানোত্তম কঠিন চীবর দান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।