নিহার বিন্দু চাকমা, রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ
মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সকল পর্যটন বন্ধ ঘোষণা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নির্দেশনা জারি করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন আয়োজিত ‘কোভিড সংক্রমণে করণীয় নির্ধারণে’ জরুরী সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. বিপাস খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন, গণপরিবহন মালিক সমিতি ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।
জরুরী সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে রীতিনীতি নিয়ম আছে সে অনুসারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত বজায় রেখে পালন করতে হবে।সর্বসাধারণের চলাচলের ক্ষেত্রে বাস, লঞ্চ, বোট, সিএনজি সকল প্রকার গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল রেষ্টুরেন্ট সমূহে ধারণক্ষমতা ৫০ভাগ মানুষের প্রবেশ নিশ্চিতকরণ অর্থাৎ ৫০ভাগ সিট খালি রাখতে হবে। শপিংমল কাঁচাবাজার অপ্রয়োজনে ঘুরাঘুরি আড্ডা বন্ধ করতে হবে। অবহেলিত সকল হ্যান্ডওয়াশিং স্পর্শসমূহ সচলপূর্বক পানি ও সাবান সংগ্রহ করে পুনরায় চালু করতে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাহী প্রকোশলী ব্যবস্থা করবেন। ওষুধের দোকান ব্যতীত আটটার পর সকল প্রকার দোকান বন্ধ থাকবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাঁচাবাজারের পণ্য সামগ্রী খোলা মাঠে বিক্রি করা যাবে । সকল প্রকার সরকারি – বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমাহল, থিয়েটারসহ সকল প্রকার জনসমাবেশ নিষিদ্ধ । তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন করার লক্ষে জেলা- উপজেলায় মাষ্ক পরিধান অভিযান ও মাইকিং অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সাংবাদিকবৃন্দরা আমাদের সাথে থাকবেন। তবে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা থাকলে ও বাড়তি বাড়া আদায়ের নির্দেশনা নেই।
সিভিল সার্জন বিপাস খীসা বলেন, করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আমরা গত বছরে সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করেছি ঠিক সেভাবে এবার ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ মোকাবেলা করবো। তিনি আর ও জানান, আজ বিকাল পর্যন্ত দুইটি স্থানের মধ্যে একটি স্থানে পরীক্ষা করে ১৫ জনের নমুনায় ৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। আরেকটি স্থানের রিপোর্ট এলে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে আশঙ্কা করছেন মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবারে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে। গত মঙ্গলবারে পজেটিভ ছিল ১০জন। এসময় নো মাষ্ক, নো সার্ভিস স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করার দাবি জানান এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।