নিজেস্ব প্রতিনিধি:আয়েশা সিদ্দিকা,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের মত সবচেয়ে বেশি প্রভাব কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস,পৃথিবী জুড়ে আতঙ্কের একটি নাম।
কিন্তু এই ভাইরাসের খারাপ লাগার বিষয় হল যে,সব প্রাণঘাতী রোগের কিছুটা প্রতিশেধক টিকা থাকলেও কোননা কোন উপায়ে রোগীর রোগ মুক্তি পেলেও, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস থেকে পাচ্ছেনা মুক্তি।
প্রতিদিন গড় ভিত্তিতে হাজারকে হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে,এই মরণব্যাধি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। বর্তমান পৃথিবীটা জুড়েই হাহাকার,প্রাথমিক ধারনায় উঠে আসে চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসটির উৎপত্তি।কিন্তু কবে মিলবে এই মহামারি মরনব্যাধি ভাইরাস থেকে মুক্তি।
প্রতিশেধক টিকা আবিস্কারে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে যাচ্ছে বড় বড় উন্নত রাষ্ট্র গুলো।তবে বিজ্ঞানীদের ধারনা অচিরেই মিলবে প্রতিশেধক টিকা।
“মানব হোস্টে সারস -কোভ- ২ এর প্রাথমিক ক্রিপ্টিক সংক্রমণ ও বির্বতণ” শীর্ষক এক গবেষনায় চীনা গবেষকরা দাবি করেছেন যে,ভাইরাসের উৎস সনাক্তকরনে ছিল প্রথাগত পদ্ধতির ক্রুটি,যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি সংবাদপত্র দ্য সান জানিয়েছেন।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগে চীনের ইউনান প্রদেশে আবিষ্কৃত ব্যাট ভাইরাসটির পূর্বপুরুষ হিসেবে উল্লেখ করেছে,তবে ব্যাট ভাইরাসটি করোনার পূর্বপুরুষ নয় -এমন দাবি করেছে চীনা গবেষকরা।
ভাইরাসটির উৎস শনাক্ত করতে গিয়ে প্রথাগত পদ্ধতির পরির্বতে, চীনা গবেষকরা এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন যাতে ভাইরাসের বিভিন্ন প্রান্তে পরির্বতনের সংখা পরীক্ষা করা জড়িত।
গবেষনা পত্র অনুসারে,সর্বাধিক মিউটেশনগুলির সাথে সম্পর্কিত স্ট্রেনগুলি দীর্ঘকাল ধরে ছিল এবং যারা কম মিউটেশনে রয়েছে তাদের উপন্যাসের করোনাভাইরাসটি পূর্বপুরুষ এর কাছাকাছি।
আটটি দেশে অস্ট্রলিয়া,বাংলাদেশ, গ্রীস,যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া,ইতালি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন পরির্বতিত স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গবেষনা প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে যে,প্রথম প্রার্দুভাবটির ক্ষেত্রে সর্বাধিক জেনেটিক বৈচিত্র্য হওয়া উচিত বিশেষ করে, ভারত ও বাংলাদেশর উল্লেখ করে।
ভারতের তরুণ জনসংখ্যা, খরা এবং চরম আবহাওয়ার কারনে এই ভাইরাসটি মানুষের কাছে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে- এমনটি অভিযোগ করেছে চীনা গবেষকরা ।
সর্বনিম্ন পরির্বতিত স্ট্রেনের তথ্য এবং স্ট্রেনের বৈচিত্র্য উভয়ই, সূচিত করে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্ভবত সেই জায়গা হতে পারে,যেখানে মানব থেকে শুরু করে সারস -সিওভি-২ সংক্রমন হয়েছিল,যা উহান প্রাদুর্ভাবের ৩-৪ মাস আগে, গবেষকরা যোগ করেছে, দ্য সান দ্বারা উদ্ধৃত।
গবেষনা পত্রটি ১৭ নভেম্বর মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটের প্রিন্ট প্ল্যাটফর্ম এসএসআরএন.কম এ পোস্টটি করা হয়েছিল।
ডেইলি মেইল জানিয়েছেন-গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশষজ্ঞ ডেভিড রর্বাটসনএবংচীনা দলের গবেষকরা গবেষনাপত্রটি “অত্যন্ত ক্রুটিযুক্ত বলেছেন” এবং বলেছিলেন “এটি করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের বোঝার কোন যোগ করে না,ডেইলি মেইল জানিয়েছেন,কিন্তু এ দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে এই দাবির কারণ কোন সত্যতা মিলেনি। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিয়মিত একটি ব্রিফিং এ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এ দাবিকে ক্রুটিযুক্ত বলেছেন।