মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- মানবজাতীর শিরোমণি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আওয়াল। ফলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আয়োজনে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস (র্যালি) ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার মহামুনি বাসস্টেশন থেকে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুসের বর্ণাঢ্য র্যালিটি মানিকছড়ি বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতল হয়ে উপজেলা টাউনহলে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন নিজস্ব ব্যানারে শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পরে উপজেলা টাউনহলে জশনে জুলুস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা আনোয়ার হোসেন ফারুকীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম। এতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জৈনপুর দরবার শরিফের খলিফা মাওলানা শেখ বাহা উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মীর হোসেন, সহ-সভাপতি মো. আরব আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম ও মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা আহমদুল হকসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাগণ।
বক্তারা বলেন, ‘আজ মুসলমানদের জন্য এটি আনন্দের দিন। শান্তির বার্তা নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আসেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সেই বার্তা সব ধর্মের সব মানুষের কাছে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন’।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) সারা বিশ্বের মানুষের কাছে একজন আদর্শ মানুষ উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ‘রাসুল (স.) ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন কাজ করেছেন। মানুষের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানী দূর করে ইসলামের প্রকৃত বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজের জীবন পরিচালনা করেছেন’।