“এই ফ্যাসিবাদী কাঠামো পরিবর্তন করে একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের উদ্দেশ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।”
গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা উক্ত মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা সদরস্থ ক্যাফে আরসালান এ উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফাহিম শরীফ খান।ছাত্র নেতা আজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমী, ফোকাল পারসন অধিকার চট্টগ্রাম ওসমান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর,গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি,গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম বোয়ালখালী সংগঠক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন আমাদের কাঠামোটাই ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় রূপান্তরিত হয়েছিল।যেই এখানে বসুক,সেই স্বৈরাচারী হবে। আমরা সেই ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন বোঝাতেই বন্দোবস্তের কথা বলে এসেছি।আজকে তা মানুষও বলছে। নতুন বন্দোবস্ত কেমন হবে- সেই প্রশ্নের উত্তরে বক্তারা বলেন,সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় সেরকম একটি বন্দোবস্ত করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করার বন্দোবস্ত করতে হবে আমাদের।মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাই কিন্তু ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ।কিন্তু প্রত্যেকটি সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার মূল্য কম দিয়েছে।এই অবস্থার পরিবর্তন করে একটি জন-গণতান্ত্রিক রূপান্তরের উদ্দেশ্যে আমাদের নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে।সভাপতির বক্তব্য অ্যাডভোকেট ফাহিম শরীফ খান বলেন দক্ষিণ জেলা ও বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য, কালুরঘাট সেতু অতি শীঘ্রই নির্মাণের দাবিও জানানো হয় সভা থেকে।আলোচনায় অংশ নেন অপূর্ব নাথ,মাসুদ ইকবাল,হাসান মুরাদ শাহ,গোলাম মোর্শেদ আনছারী,ছাত্র নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন।