কাউখালী(রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :
রাঙামাটি জেলার সাথে উপজেলার প্রায় শতাংশ যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে- নৌ-পথ। নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙামাটি জেলার ১৩টি লঞ্চ ঘাট ও ১৩টি পল্টন রয়েছে। উক্ত লঞ্চ ঘাট ও পল্টন ব্যবহারের মাধ্যমে ৯টি উপজেলায় প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও যাত্রীসেবা নৌপথে পরিবহন হয়ে থাকে।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গামাটি সদর রিজার্ভ বাজার হতে বিভিন্ন উপজেলা যাত্রী সাধারণ লঞ্চে ও ট্রলার যোগে যাতায়াতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও খাদ্য সামগ্রী পরিবহন করতে হয়। যাত্রী সাধারণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন লঞ্চে করে পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘাটগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে পুরাতন ও নষ্ট সিড়ি । এতে যাত্রী সাধারণের জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর আগে ঘাট হতে পন্টুনে উঠা নামার জন্য সরবরাহকৃত বর্তমানে সিঁড়ি জরাজীর্ণ ও জোড়াতালি দিয়ে পন্টনে উঠা-নামা করছেন চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও খাদ্য সামগ্রী মালামাল বহনকারী ব্যবসায়ীরা।
দেখা গেছে,জেলা সদর লঞ্চঘাট রিজার্ভ বাজার, বরকল, লংগদু, তবলছড়ি, বিলাইছড়ি, সুভলং, নানিয়ারচরসহ (বিআইডব্লিউটিএ)র নিয়ন্ত্রণাধীন পন্টনের অধিকাংশই সিঁড়ি জরাজীর্ণ ও জোড়াতালীতে ব্যবহ্নত হচ্ছে। অনেক স্থানের সিঁড়ি ভেঙ্গে গেছে ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছেন সাধারন শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ ও যাত্রী সাধারণেরা।
বরকলের একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে জানান,রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি থৈই থৈই করছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। চলাচলের সুবিধার্থে ঘাটের সিঁড়ি মজবুত না থাকায় নৌকা ও ছোট ট্রলারের মাধ্যমে উঠতে হচ্ছে।
অন্যদিকে অনেকেই মনে করছেন,কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সাধারন যাত্রীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। জানাগেছে,কয়েক বছর আগের সরবরাহকৃত জরাজীর্ণ সিড়ি জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই মনে করছেন কতৃপক্ষের গাফিলতির কারনে এমনটাই হচ্ছে,যেকোন সময় হতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
এদিকে নুরুল হক নামের ঘাট শ্রমিক জানান,কাপ্তাই হ্রদের মাত্রাতিরিক্ত পানি বৃদ্ধির ফলে পল্টনগুলোতে বা ঘাটে টই টুম্বুর পানি,অতি সত্বর ঘাটগুলিতে কাঠের সিঁড়ি নতুন ভাবে স্থাপনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি ।