নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:
টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি নানিয়ারচরে পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে অনেক পরিবার। এর মধ্যেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নানিয়ারচর সদর,বুড়িঘাট,ঘিলাছড়ি ও সাবেক্ষনের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। এ সব এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ও পাহাড়ের উপর ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
এছাড়া পাহাড় ধসের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে , ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা,বগাছড়ির কিছু অংশ, বুড়িঘাট ৫নং টিলা মোহাম্মদ আলীর পাহাড় ,১৭নং টিলার নুরুমিয়ার দোকানের সামনের পাহাড়,১৬নং টিলা পাহাড় , ১৮ নং টিলার হানিফ এর দোকানের সামনের পাহাড় এবং ১নং টিলার লিয়াকত আলীর পাহাড় ।
তবে বসবাসকারী স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় ধসের আতঙ্ক থাকলেও বাধ্য হয়েই এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন তারা।
বুড়িঘাট এলাকার ইউপি সদস্য মোস্তফা খান ও মো: মিজানুর রহমান বলেন, “টানা বৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যে মধ্যে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ছে। খুব আতঙ্ক নিয়ে এলাকার লোক বসবাস করছে। বৃষ্টি হলে রাতের বেলায় ভয়ে অনেকের ঘুম আসে না।
স্থানীয়রা বলছেন “বছরের পর বছর পাহাড়ে মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প কোনো বসবাসের জায়গা নেই তাই এখানে থাকছে।
এদিকে পাহাড় ধসে যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ।
এদিকে,রাঙ্গামাটি -খাগড়াছড়ি সড়কের নানিয়ারচর বেতছড়ি উনিশ মাইলে স্থানে পাহাড় ধস মোকাবেলায় কাজ করছে সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয়রা।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর জানান,পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সংকট মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।