মোঃ সিরাজুল মনির,চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। টিকাদানে নগরে ১৫টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হলেও প্রথমে কেবল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। হাসপাতালের চারতলায় চারটি বুথে এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। এখন কেবল কাঙ্ক্ষিত দিনটির অপেক্ষা।
কারা নিবেন প্রথম টিকা : চট্টগ্রামে প্রথম টিকা কে বা কারা নিচ্ছেন, এই কৌতূহল এখন চট্টগ্রাম জুড়ে। তবে একই সাথে চারজনকে প্রথম টিকাদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছে চমেক হাসপাতাল প্রশাসন। হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, হাসপাতালে যেহেতু চারটি বুথে এ টিকা দেওয়া হবে, সেহেতু একই সাথে চারজনকে প্রথম টিকা দেওয়া যাবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। হাসপাতাল প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ চারজন চারটি বুথে প্রথম এই টিকা নেবেন। প্রথম টিকা গ্রহণকারীর তালিকায় বাকি তিনজন হলেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। প্রথমে এই চারজনকে দিয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে চট্টগ্রামে।
তবে ওই দিন ঢাকায় চসিকের নবনির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনে উপমন্ত্রী না-ও থাকতে পারেন। সেটি হলে উপমন্ত্রীর বদলে অন্য কেউ টিকা নিতে পারেন।
প্রথম টিকা নেয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে টিকা নিতে মুখিয়ে আছি। টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেকটা দ্বিধান্বিত। তাই আমরা দায়িত্বশীলরা প্রথমে টিকা নিলে সাধারণ মানুষের দ্বিধা-সংশয় কেটে যাবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে আমি প্রথম টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে টিকাদান উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে অন্তত একশ জনকে টিকা প্রদানের কথা জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, প্রথম দিন চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীসহ অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত অন্তত একশ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট রয়েছে আমাদের। তবে সংখ্যাটি এর বেশিও হতে পারে।