রায়হান আহমেদ, পানছড়ি প্রতিনিধি:
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ না করে, তথ্য গোপন করে ও নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে সুপারেনটেনডেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিতরে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিয়োগ বাতিল ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাথে এ বিষয়ের জন্য বৈঠকের সময় নির্ধারণ করলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাদের সাথে এ বিষয়ে কোনো প্রকার আলাপ করতে রাজি হননি। তাই সাবেক ছাত্রছাত্রী অভিভাবকসহও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যথাযথ কতৃপক্ষদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
তাছাড়া অদ্য বেলা ২ ঘটিকায় মাদ্রাসা গেটে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকের ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণ অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীর পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে নীতিমালার আলোকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করে এই প্রতিষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে প্রশাসনে হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
সাবেক শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য আমিরুল বশর বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিএবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষের এ অবৈধ নিয়োগের দায়ভার নিতে হবে। তারা যথাযথ নীতিমালা অমান্য করে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই নিয়োগ বাতিল করে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে নতুন করে অধ্যক্ষ নিয়োগ করার জন্য।
উক্ত মানববন্ধনের সঞ্চালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন আমাদের দাবি মানা না হলে ছাত্র ছাত্রীদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সামনে আরো কঠোর আন্দোলনে যাব।
মানববন্ধনের সভাপতি ও সমাপনী বক্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন সংঘাত চাই না। আমরা সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল করে এই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে অধ্যক্ষের নিয়োগের দাবি জানাই। এবং এই মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ও আলিম শাখাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের অর্থ দিতে হলেও আমরা সার্বিক শিক্ষার্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা দিতেও প্রস্তুত আছি। কারন আমরা জানতে পেরেছি আলিম শাখা শিক্ষকদের যথাযথ বেতন ভাতা না দেওয়ার কারণে অনেক শিক্ষক মাদ্রাসা ত্যাগ করেছেন। তাই তাদের বেতন ভাতার জন্য সহযোগিতা দিতে আমরা সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত আছি।