মংহাইসিং মারমা;বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবান রুমা কেওক্রাডং থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী জিপ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২ নারী পর্যটক নিহত হয়েছে। এসময় গাড়িতে থাকা আরো ১১ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ডা: ফিরোজা খাতুন(৫৩), জয়নব খাতুন(২৪)। দুজনের বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, কুমিল্লার দিবাকর চন্দ্র নাগের স্ত্রী ডা. জবা রায়(৪৫) ও মেয়ে ঊষসী নাগ (১৫), কুষ্টিয়ার মাহফুজা ইসলাম রুপা(৪৫), আমেনা বেগম (৬০), তাহমিনা তানজীম তালুকদার (১৯), তাননিম, রিজভী (৩৪), আঞ্জুমান হক(৩৫), ইতু (১৬), স্বর্ণা (২৩) ও ঢাকার সজীবের ছেলে রাফান (১২)।
আজ শনিবার(২০ জানুয়ারি) সকালে কেওক্রাডং থেকে ফেরার পথে রুমা রুমসংপাড়া ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারীর চোখে বিশ্ব দেখা সংগঠনের সদস্যরা একটি ইভেন্ট ট্যুর ‘পাহাড় কন্যা’ নামে ৫৭ জনের একটি পর্যটকের দল গতকাল বান্দরবান ভ্রমণে আসে। বান্দরবান জীপ গাড়ি স্টেশন থেকে ৫টি পর্যটকবাহী গাড়িতে করে কেওক্রাডং ভ্রমণে যায়। একই গাড়িতে আজ (২০জানুয়ারী) রুমা ফেরার পথে কেওক্রাডং সড়কের রুমসংপাড়া ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় একটি বি-৭০ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন পর্যটক নিহত হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা আরো ১১জন আহত হয়েছেন। আহত ১১ জনের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০জনকে সেনাবাহিনীর এম্বুল্যান্সে করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি আহতদের রুমা উপজেলার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নানীর সাথে ভ্রমণে আসা আহত শিশু রাফান(১২) বলেন, কেওক্রাডং থেকে সবাই আনন্দের সাথে রুমা ফিরছিলেন দার্জিলিং পাড়া পৌঁছার আগে হঠাৎ গাড়ির ব্রেক ফেল হয়ে যায়। এসময় গাড়ির ড্রাইভার দরজা খুলে লাফিয়ে বের হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়।
ভ্রমণকন্যা ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে দেখা যায়,
‘নারীর চোখে বিশ্ব দেখা সংগঠন’ থেকে ৫৭ জনের একটি দল বান্দরবান কেওক্রাডং ভ্রমণে আসেন। এই গ্রুপের ২২৬তম ট্যুর বলেও উল্লেখ করা হয়।
বান্দরবান রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সৈয়দ মাহাবুবুল হক জানান, দূর্ঘটনায় দুইজন নারী পর্যটক নিহত হয়েছেন। দূর্ঘটনা কবলিত পর্যটকদের উদ্ধার করে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সদর হাসপাতালের এম্বুল্যান্স যোগে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়নানুল খালেদ বলেন, এ পর্যন্ত ১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আমেনা বেগম নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরো কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হবে বলে জানান।