সরওয়ার কামাল,মহেশখালী কক্সবাজার
হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলার মানুষ। কয়েক দিন ধরে সারা দেশের শীতের যে প্রকোপ দেখা দিয়েছে তার ব্যতিক্রম হয়নি কক্সবাজারে । এর প্রভাবটা পড়তে শুরু করছে কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজেলায়। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মহেশখালীতে ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এতেই নাকাল অবস্থায় পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। হঠাৎ শীতের দাপট বাড়ায় কাবু হয়ে পড়েছে মহেশখালীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গতকাল থেকে শীতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে মহেশখালীবাসী। শীতজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা, জন্ডিস, সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে শিশু ও বৃদ্ধরা। তাই শীতে খুবই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। উপজেলার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার ৬০ উর্ধ্ব এক বৃদ্ধা মহিলা (কুলসুম) বলেন ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসছে। এ রকম শীত কখনো দেখি নাই।
কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না,ঘর থেকে বের হতে পারছি না। তেমনি শীতের কারণে নাস্তানাবুদ হয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শীতের তীব্রতা কথা জানিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার মত প্রকাশ করেন। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় , এবারের শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত এটি কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানা যায়। এরকম আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই শীতে সকলের যত্ন নেওয়ার কথা জানান, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জর্নিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।