সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
বিলাইছড়ি(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধিঃ-
বিলাইছড়িতে বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার( ১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কনফারেন্স রুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিফাত উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান উৎপলা চাকমা, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুর নবী, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আকতার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহীদুল ইসলাম,উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিলেশ চাকমা, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর বখতেয়ার আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রভাষক এবং কর্মচারীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দু’টি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী,অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক আনোয়ার পাশা,অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড.আবুল খায়ের,ড.মুর্তজা,সাংবাদিক খন্দকার
আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরো অনেকে।