(রিপন ওঝা,মহালছড়ি)
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি দক্ষিণা কালী মন্দিরে আজ ২৬নভেম্বর রোজ রবিবার পূর্ণিমার রাতে অধিবাসের শুভ লগ্নের মধ্যে দিয়ে ষোড়শ প্রহর এতিহ্যবাহী রাস মহৌৎসবে মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামসংকীর্তন প্রারম্ভ হবে তা রবিবার ঊষালগ্নে মহানাম যজ্ঞের পূর্ণাহুতি অনুষ্ঠান ও নগর পরিক্রমায় সম্পন্ন হবে ২০২৩ সালের, ১৪৩০ বজ্ঞাব্দের ৪৮তম রাস মহৌৎসবের মহাযজ্ঞের আয়োজন।
উক্ত অধিবাসের শুভক্ষণে দক্ষিণা কালী মন্দিরের ও ৪৮তম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রতন কুমার শীল ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল দাশ ও সনাতনী সমাজের সকল ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত যে, হিন্দুদের কাছে রাস অন্যতম বড় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীর ভাবধারার এই উৎসব। কথিত আছে রাস কথাটি এসেছে ‘রস’ থেকে। ‘রস’ মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম বা সার, নির্যাস, আনন্দ, আহ্লাদ, অমৃত ও ব্রহ্ম। ‘তৈত্তিরীয়’ উপনিষদে (২/৭) ‘রস’ সম্পর্কে বলা হয়েছে “রসো বৈ সঃ। অর্থাৎ ‘রস’ ব্রহ্ম ছাড়া আর কিছুই নয়।
কথিত আছে, বস্ত্রহরণের দিন কৃষ্ণ গোপিনীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে তিনি তাঁদের সঙ্গে রাসলীলা করবেন। কৃষ্ণের মধুর বাঁশির শব্দ শুনে মুগ্ধ গোপিনীরা নিজেদের কর্তব্য বিসর্জন দিয়ে সংসারের মোহ ত্যাগ করে বৃন্দাবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁরা নিজেদেরকে শ্রীকৃষ্ণের চরণে সমর্পণ করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের গৃহে ফিরে যেতে বললেও তাঁরা ফিরে যায় নি। তাঁদের ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে এরপর শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের অন্তর পরিষ্কার করেন। যতজন গোপিনী, ততজন কৃষ্ণ হয়ে গোপিনীদের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন। যার মাধ্যমে গোপিনীরা জাগতিক ক্লেশমুক্ত হন। এভাবেই রাস উৎসব শুরু হয়েছিল।
মৃৎ শিল্পে শ্রীযুক্ত উত্তম পাল, মহামায়া স্টুডিও, হাজারী লেইন, চট্টগ্রাম, মঞ্চ সজ্জায় শ্রীযুক্ত আবির দে,মহালছড়ি।
আলোক সজ্জায় আকাশ ডেকোরেটার্স, মহালছড়ি।
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রতন কুমার শীল বলেন মাঙ্গলিক অনুষ্টানে সকল ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়ে ভাগবত সুধা আস্বাদন ও কৃষ্ণপ্রসাদ ও পুজার প্রতিক্ষণে সনাতনী সমাজের ভক্তদের পদচারণায় মুখোরিত হোক পুজা মন্ডপ আমাদের প্রত্যাশা।