মংহাইসিং মারমা;বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রোয়াংছড়ির পাইংক্ষ্যং, ক্যাপলং, দুর্নিবার ও খামতাং পাড়ার খাদ্য সংকটে থাকা ১১০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, শীত বস্ত্র, খেলাধুলা সামগ্রী, শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার(২৬ নভেম্বর) বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ক্যাপলং ও পাইংক্ষ্যং পাড়ায় এ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
পাড়াবাসীরা জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ভয় ও আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নানা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া পাড়ার অধিকাংশ বাসীন্দারা জুম চাষ করতে পারেননি। সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাড়ি ছাড়া পাইংক্ষ্যং পাড়া, ক্যাপলং পাড়া, দূর্নিবার পাড়া, খামতাং পাড়ার অধিকাংশ পাড়াবাসীরা নিজ বাড়িতে ফিরলেও তাদের মধ্যে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খাদ্য সংকটের তথ্য প্রকাশিত হলে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চার পাড়ার ১১০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য, শীত বস্ত্র, শিক্ষা সামগ্রী, শিশুদের জন্য খেলাধুলা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
পাইংক্ষ্যং পাড়ার কারবারি(পাড়া প্রধান) বলেন, জুম চাষ করতে না পারায় ফিরে আসা পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে আছে। আজকে সেনাবাহিনী ও জেলা পরিষদ থেকে যা দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। সরকার থেকে আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা কামনা করেন তিনি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, খাদ্য সংকটে থাকা সব পরিবারকে খাদ্য, শীতবস্ত্র, শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও খেলাধুলা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চলমান সকল সমস্যার সমাধানও করা হবে। এছাড়াও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১১টি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালীরও সহাবস্থান রয়েছে। তাই সকলে মিলে সম্প্রীতির বান্দরবান গড়ে তোলার আহব্বান জানান তিনি।
এসময় বান্দরবানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা এখনো পাড়ায় ফিরে আসেনি তাদেরকে নির্ভয়ে বাড়িতে ফিরে আসার আহবান জানান এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দেন। যাঁরা ফিরে এসেছে তাদের পরিবারে খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সকল প্রকার সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান, রোয়াংছড়ি সাব-জোন কমান্ডার মেজর এম এম ইয়াছিন আজিজ, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী, বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জার লম বম, পাইংক্ষ্যং মৌজার হেডম্যান বয়তাং বম ও জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা জুড়ি মং মারমাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক-প্রিন্ট মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সংকটের সহায়তা পেল ১১০ পরিবার।
Leave a comment
Leave a comment