নিউটন চাকমা,
কাউখালী প্রতিনিধি, রাঙামাটিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বিশ্বের সর্বোপরি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাসজুড়ে দানোত্তম কঠিন চীবর দান গত প্রবারণা পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত চলবে। এরপর দানোত্তম কঠিন চীবর দান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
এই উপলক্ষে জেলার কাউখালী উপজেলাধীন ঘাগড়া এলাকায় বৈজয়ন্ত বন বিহারে ১২ ও ১৩ নভেম্বর দু’দিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈজয়ন্ত বন বিহারে দু’দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান আজ দুপুর ৩ ঘটিকায় বেইন ঘর শুভ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে। বিকাল ৫ ঘটিকায় বেইন বুননকারীরা ধর্মীয় রীতিনীতিতে পঞ্চশীলে অধিষ্ঠিত হয়ে রাত ৮টার পর পুরোদমে বেইন বুননের কাজ শুরু হবে। তন্মধ্যে রাত ১০টায় সুতা রং করা, সুতা আগুনে শুকানো, চোড়কায় সুতা বাঁধানো সহ ইত্যাদি কার্যক্রম একযোগে শুরু হবে।
এদিকে, বৈজয়ন্ত বন বিহার ও চীবর দান পরিচালনা কমিটি সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। আজ সারারাত চীবর বুননের কাজ চলবে। আগামীকাল বিকালের অনুষ্ঠানে এই কঠিন চীবরটি অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্য দান করা হবে বলে জানান অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটি।
বৈজয়ন্ত বন বিহারে ২৩তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উপলক্ষে পুরো এলাকাজুড়ে নানারকম আলোকসজ্জা সাজানো হয়েছে। হাজার হাজার পুর্ণ্যার্থীদের আগমন করতে আজ দুপুর থেকে লক্ষ্য করা গেছে। পুরো এলাকাজুড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুর্ণ্যার্থীরা এই মহতী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুর্ণ্য অর্জনের জন্য মিলিত হচ্ছেন। একদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধের মিলন মেলায় পরিণত। অন্যদিকে, বৈজয়ন্ত বন বিহারে পুর্ণ্য সঞ্চয়ের দর্শন ঘটছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।