নিউটন চাকমা:কাউখালী প্রতিনিধি, (রাঙামাটি)ঃ
বিএনপি জামায়াত সহ শরিকদের ৭২ ঘন্টা ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। অবরোধের নামে দেশের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, বাসে আগুন লাগানো ও সাধারন জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ক্ষমতাসীন দল আজ দ্বিতীয় দিনেও কাউখালী উপজেলা থানা কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথ দখলে নিয়েছে। বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘন্টা অবরোধে দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের আশপাশের অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অব্যাহত রয়েছে। তবে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে উপজেলার দুই এলাকায় ঘাগড়া ও বেতবুনিয়ায় হাট বাজার থাকায় লোকজনের উপচেপড়া ভীড় ছিলনা। হাট বাজারে বিক্রেতা থাকলেও দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পাইকারী ব্যবসায়ীদের অনেকটা কম ছিল। বিএনপির টানা ৩ দিনের অবরোধে ঘাগড়া ও বেতবুনিয়া হাট বাজারে পণ্য সামগ্রী ও কাঁচা মালামালের বেচা-বিক্রি অন্যান্য হাট বাজারের তুলনায় আজকে কিছুটা হলেও কম। তবে স্থানীয়দের সবধরনের খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলা হয়েছে। অবরোধে ২দিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা-চট্রগ্রাম হতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মালামাল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঘাগড়া বাজারে কাঁচা তরকারি বিক্রি করতে আসা এক পাহাড়ি বয়োজোষ্ঠ নারীর সঙ্গে কথা হলে চাকমা ভাষায় বলেন, দ্বি দিন দুরি গাড়ী ন্ চলের হেনে বিয়ারি এবাগ (২ দিন ধরে গাড়ী চলাচল বন্ধ, কিভাবে বেপারী আসবেন)। সেনেত্তি এজ্জি বেজা হেনা হম ( সেজন্য আজকে বেচা-বিক্রি কম)। তার সঙ্গে কথা বলে সে আরো বলেন, এভাবে রাস্তাঘাট অচল থাকলে এই বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর মতো নিম্ন আয়ের পরিবার গুলো জীবনযাপনে নানা সমস্যায় সম্মুখীন হবেন। অবিলম্বে অবরোধ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘন্টা অবরোধ চলাকালে কাউখালী উপজেলার সবধরনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাউখালী থানা পুলিশ সর্বাত্মক সর্তকতা অবস্থায় রয়েছেন। এলাকার পারিপার্শ্বিক ও জনসাধারণের চলাচলে কোন ধরনের বিঘ্নিত না ঘটে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টইলদার জোরদার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপি, জামাত ও শরিকদের ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধ দ্বিতীয় দিনের মতো দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে। জেলার কাউখালী উপজেলাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্কিত ঘটনার খবরা খবর পাওয়া যায়নি।