মংহাইথুই মারমা,রুমা প্রতিনিধি, বান্দরবান
বান্দরবানে রুমা উপজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের মাঠ সংস্করণের নামে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রুমা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান এর বিরুদ্ধে। কাজ না করেও শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। টাকা উত্তোলনের পর থেকে লাপাত্তা সে যুবলীগের নেতা শাহজাহান।
রুমা কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, মসজিদের মাঠ সংস্কারের বরাদ্ধ দেয়ার আগেই কমিটির নিজস্ব তহবিল থেকে মাঠটি সংস্কার করা হয়েছিল। মসজিদ কমিটির নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করা ছবি দেখিয়ে ভূয়া বিল তৈরি করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নামে দেয়া বরাদ্ধের টাকা আত্মসাৎ করায় মসজিদ কমিটির সদস্যদের চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসন তথ্য মতে, রুমা উপজেলার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠ সংস্করণের জন্য বরাদ্ধ দেয় উপজেলা পরিষদ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হয় ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যা উম্রানু মারমাকে।
অভিযোগ আছে, প্রকল্প সভাপতিকে ৫ হাজার টাকা সম্মানী দিয়ে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে নেয় উপজেলা যুবলীগের নেতা শাহজাহানসহ আরো কয়েকজন। আর এ কাজে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে সহযোগিতা করেছেন রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্রাচিং মারমা।
রুমা কেন্দ্রীয় মসজিদের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, মাঠ সংস্করণের নামে ভূয়া বিল দেখিয়ে অর্থ উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। অথচ মাঠ সংস্করণই হয়নি প্রকল্পের টাকায়। তেমন কোন কিছু কাজ না ভূয়া সংস্কার এর ছবি দেখিয়ে ফাইনাল বিল উত্তোলন করেছে তারা।
প্রকল্পের সভাপতি ও ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা উম্রানু মারমা জানান, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। বিনিময়ে আমাকে ৫ হাজার টাকা দিযেছে। এর বেশি কিছু আমি জানিনা বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত যুবলীগের নেতা শাহজাহানের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলার চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার অবগত আছে। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, প্রকল্পের টাকা আমিই আত্মসাৎ করেছি বলে ফোন রেখে দেন।
উল্লেখ্য, উহ্রাচিং মারমা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে উপজেলা পরিষদে কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে টাকা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ সরকারের দেয়া বিভিন্ন বরাদ্ধ থেকে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে দলীয় নেতা ও পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ভাগ বাটোয়া করে আত্মসাৎ করার অভিযোগও কম নয়।