মংহাইথুই মারমা,রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রুমা উপজেলার শাখায় বিএনপির নেতা সাধারন সম্পাদক মো: ইদ্রিস মিয়া জনসম্মুখে প্রধানমন্ত্রী, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, আওয়মী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নামে সরাসরি গালিগালাজ করার ঐ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে রুমা উপজেলা শাখায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিক ও সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো: শাহজাহান’র উপর লাঠিচার্জ করেন। পরে ঘটনাস্থলে গুরুত্ব আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেছে বলে জানিয়েছেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা।
গত শনিবার (৩জুন) রাত সাড়ে আটটা দিকে রুমা বাজার সাতকানিয়া হোটেল’র সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে আবু সিদ্দিক আর মো: ইদ্রিস মিয়া তাদের দুইজনের মধ্যে জায়গা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ঐ সূত্রকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, এক পযার্য় এসে তাদের দুইজনের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকমর্ীরা সমাধান করতে গেলে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে মো: ইদ্রিস মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০)।
আওয়ামী লীগের নেতা সুধীর দাশ, পনলাল চক্রবর্তী, কাঞ্চন কর্মকার গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিক এর সাথে বিএনপির নেতা সাধারন সম্পাদক মো: ইদ্রিস মিয়া চায়ের দোকানে সামনে কথা কাটাকাটি হলে সমাধানে আনার জন্য আবু সিদ্দিক নিজের সহকমর্ীদের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনটি পকেট থেকে বের করতে গেলে তার হাত থেকে কেরে নেন তার সাথে মো: শাহজাহান পকেট থেকে নগদ ২০হাজার টাকা ইদ্রিস মিয়া নিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে আহত হওয়ার ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক রুমা সদর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে ভর্তি করে দিয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির নেতা মো: ইদ্রিস মিয়া এর ছেলে আব্দুল হাকিম’র ভাষ্যমতে, আমরা কোন প্রধানমন্ত্রী, পাবর্ত্যমন্ত্রী, আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামে কোন গালিগালাজ করেনি। যদি ঐরকম কোন গালিগালাজ করা প্রমান দেখাতে পারলে আমাদেরকে যা খুশি তা করেন। তাদের সাথে আমাদের জায়গা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাই আমরা সমাধান করার জন্য কথা বলেছিলাম, কিন্তু এক পযার্য়ে এসে ছাত্রলীগের কর্মীরা পিছন দিকে এসে মারধর করে বলে জানান আব্দুল হাকিম। মা আর আমি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এখনো পর্যন্ত রুমা সদর থানায় দুই দল থেকে কোন মামলা হয়নি। তবে অভিযোগ আসলে মামলা নেওয়া হবে।