খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের
নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতনবৈষম্য নিরাসনসহ বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন এর আহবানে চার দফা দাবিতে ২৬ নভেম্বর হতে চলমান কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন উপজেলার ন্যায় মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি এডিশন চাকমা বলেন এই প্রকার কর্মবিরতির ফলে জেলার টিকাদান কর্মসূচিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীগণ। আমাদের নৈতিক যৌক্তিক দাবিগুলো হলো বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠভ্রমণ ও ঝুঁকি ভাতা প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ ও ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রবর্তন করা। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন প্রতিদিন কর্মদিবসে উপস্থিত হইতেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে এবং কোন টিকাদান কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন না। প্রতিদিন উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সামনে স্বাস্থ্য সহকর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। আমাদের সকলের যোক্তিক দাবি নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬ তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২, ও ১৩তম গ্রেডে উন্নতি করতে হবে।
যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ ‘টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীরা বর্তমানে ১০টি মারাত্মক সংক্রমিত রোগের টিকা দেয় কিন্তু আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।
আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অর্জনসহ টিকার ক্ষেত্রেও বিশ্বের সম্মান অর্জন করছেন তবুও আমরা স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ মাঠভ্রমণ ও ঝুঁকি ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা হতে বঞ্চিত হইতেছি।
তাই কিছু যৌক্তিক দাবি আমরা সরকারের নিকট বারংবার দাবি তুলে ধরেছিলাম। ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়া হবে তা আজ ২২ বছর শেষে এসেও বাস্তবায়ন যথাসময়ে না হওয়ায় আশাহত হয়েছি।