চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান রাঙ্গামাটি নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে আগামী ২৫ জানুয়ারি মক ভোটিং হবে। ভোটের আগের দিন এসব ইভিএম কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। এবারের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭৩৫ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে ইতোমধ্যে ১১ হাজার ইভিএম পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি বা সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে দুটি কক্ষের বিপরীতে একটি করে ইভিএম মেশিন অতিরিক্ত রিজার্ভ রাখা হবে। এছাড়াও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্বে আরও বেশকিছু ইভিএম মেশিন মজুদ রাখা হবে। এসব ইভিএম সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবে। এসব ইভিএম মেশিন এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে আনা হয়েছে। সেখান ভোটের আগের দিন কড়া প্রশাসনিক পাহারার মাধ্যমে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন ৭৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার। এছাড়াও অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা করা হয়েছে।
এবারের চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত একক প্রার্থীসহ ছয়জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬১ জন ও ১৪টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।