চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় সংগ্রামী এবং প্রতিবাদী। তাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যা, অনিয়ম দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি এবং চট্টগ্রামের প্রতি যে অবহেলা তার জবাব দিতে ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রামের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষ প্রতিকে তাদের রায় দেবেন। তিনি আগামীতে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে আরবান হেল্থ সেন্টারগুলো চালু করতে পারলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর কিছুটা হলেও চাপ কমতো। তাই আরবান হেল্থ সেন্টার, চাইল্ড কেয়ারগুলো বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতে হবে। করোনা মহামারীর মধ্যে একটি স্পেশালিষ্ট হেলদি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার জন্য আমি কাজ করে যাবো। তিনি আজ রবিবার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। তিনি নেতাকমীর্দের সাথে নিয়ে আতুরার ডিপু নুর টাওয়ারের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে তুলা কোম্পানি, ঈদগাঁ মোড়, চালিতাতলী বাজার, বোর্ড অফিস, নেজামে হামচা, অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়ক, ওয়াজেদিয়া, হরিপুর, নয়াহাট, ফকিরাবাদ, কয়লারঘর, অক্সিজেন, পাঠানপুর,শহীদ নগর হয়ে বেলতল মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। গণসংযোগ কালে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে সালাম বিনিময় এবং ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। নিবার্চনী প্রচারণায় লেভেল প্লেইন ফিল্ড নেই অভিযোগ করে ডা: শাহাদাত বলেন, কথা ছিল সব প্রার্থীর জন্য নিবার্চনে লেভেল প্লেইন তৈরী হবে। অথচ দেখা যাচ্ছে সরকারী দলের প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই পুলিশ সাপোর্ট পাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০/৩৫টি গাড়ীর বহর নিয়ে নিবার্চনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এটা কি লেভেল প্লেইন হল..? তারপরও আমরা মনে করি একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ভোট হোক। তারা যদি এসব অনিয়ম করে তাহলে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে অনিহা সৃষ্টি হবে। মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সঞ্চালন হবে। তাই নিবার্চন কমিশনার ও প্রশাসনের দায়িত্ব ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পরিবেশ সৃষ্টি করার। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, যেহেতু ইভিএম’এ ভোট হবে সেহেতু আইডি কার্ড ছাড়া কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সে দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। পথসভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশম বক্কর বলেন, গণসংযোগে জনস্রোত প্রমান করে চট্টগ্রাম মহনগরীতে ধনের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে অলিগলিতে যেখানে ধানের শীষের গণসংযোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে। বিএনপি জনগণেন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছে। আগামী ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রামবাসীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠির দিন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে ডাঃ শাহাদাতকে পাঠিয়েছেন আপনাদের রায় নেয়ার জনা। এ রায় হবে বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির রায়, গণতন্ত্রের মুক্তির রায়। ২৭ জানুয়ারী ধানের শীষের পক্ষের রায় হবে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্টার রায়। গণসংযোগ কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ০৮ আসনের সাবেক বিএনপি প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন,মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, জি এম আইয়ুব খাঁন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সবেক সদস্য নুরুল ইসলাম সাধু মিয়া, আবদুর রহিম, ০৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো: ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, ০২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: বেলাল, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ সভাপতি আবু ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খাঁন, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দীন রাসেল, আবদুল আহাদ রিপন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, মোর্শেদুল আলম, খুরশেদ আলম, মো: ইউসুফ, আবসার উদ্দিন, আবুল কালাম আবু, সামছুল আলম মেম্বার, ইসমাইল বালী, সাইফু সওদাগর, আবদুল হালিম কালু, মো: বেলাল সর্দার, নাছিমা আলম, মো: ওসমান, যুবদল নেতা মো: ইসমাইল, মহিউদ্দিন জুয়েল, মনজু আলম মনজু, নাজিম উদ্দিন হিরু, এম আর খাঁন ফারুক, মো: হাসান, আনোয়ার হোসেন, রাশেদ খাঁন টিপু, ফিরোজ মাহমুদ, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান বাপ্পা, কাজী মহিউদ্দীন, মহিউদ্দীন রুবেল প্রমূখ