মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো।
চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা! এই মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডা. শাহাদাত।
তার ৪৯টি মামলার মধ্যে একটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। দুটি মামলা স্থগিত, দুটি মামলা তদন্তাধীন ও বাকি ৪৪টি মামলা বিচারাধীন।
চসিক নির্বাচনে ডা. শাহাদাতের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
চসিক নির্বাচনে ডা. শাহাদাতের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ধন-সম্পদে ৬৮ বছর বয়সী রেজাউলের চেয়ে এগিয়ে ৫৫ বছর বয়সী ডা. শাহাদাত। বিএ পাস রেজাউলের চেয়ে বার্ষিক আয়ও বেশি এমবিবিএস পাস শাহাদাতের। তবে বাকলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা ডা. শাহাদাত ঋণগ্রস্ত। কিন্তু বহদ্দারহাটের স্থায়ী বাসিন্দা রেজাউলের কোনো ঋণ নেই।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, রেজাউল করিমের নির্বাচনী খরচ জোগাবেন তার স্ত্রী সেলিনা আকতার ও তিন ভাই নজরুল করিম চৌধুরী, কামরুল করিম চৌধুরী ও নুরুল করিম চৌধুরী। আর ডা. শাহাদাতের ভোটের খরচ দেবেন তার বোন হাসনা হেনা ও শিরিন আক্তার।
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য নিজের আয় থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করবেন ডা. শাহাদাত। আর দুই বোনের কাছ থেকে ঋণ করবেন ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, রেজাউল করিমের নির্বাচনী খরচ জোগাবেন তার স্ত্রী সেলিনা আকতার ও তিন ভাই নজরুল করিম চৌধুরী, কামরুল করিম চৌধুরী ও নুরুল করিম চৌধুরী। আর ডা. শাহাদাতের ভোটের খরচ দেবেন তার বোন হাসনা হেনা ও শিরিন আক্তার।
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য নিজের আয় থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করবেন ডা. শাহাদাত। আর দুই বোনের কাছ থেকে ঋণ করবেন ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা।
নিজের ব্যবসা থেকে এক লাখ টাকা খরচ করবেন রেজাউল। পাশাপাশি স্ত্রী ৫ লাখ ও এক ভাই সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেবেন। এর বাইরে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা ভোটের জন্য ধার করবেন রেজাউল।
হলফনামায় দুই প্রার্থীর দেয়া তথ্যমতে, শাহাদাত হোসেন ঋণগ্রস্ত, আর রেজাউল করিম ঋণমুক্ত। ডা. শাহাদাতের উত্তরা ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছে ৩ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ আছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কাছে ঋণ ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১৩২ টাকা এবং অন্য ঋণ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা।
শাহাদাত নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার দ্য ট্রিটমেন্ট সেন্টার নামের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক মূলধন ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৬০০ টাকা। তার টয়োটা গাড়ির মূল্য ১১ লাখ ৮০ হাজার আর পুরোনো একটি জিপের মূল্য ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শাহাদাতের মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া বাবদ আসে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষকতা ও পরামর্শক হিসেবে পান ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা।
শাহাদাতের নগদ ১৫ লাখ টাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৭ টাকা। বন্ড ও স্টক এক্সচেঞ্জে আছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০ টাকা।
শাহাদাতের মালিকানাধীন দুটি অকৃষি জমির মূল্য ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। একটি আটতলা আবাসিক ভবনের আট ভাগের একাংশের তিনি মালিক, যার মূল্য ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আর নিজের মালিকানাধীন একটি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। নগরীর বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ডা. শাহাদাত এখন থাকেন নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের একটি ফ্ল্যাটে।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক তিনি। রেজাউল করিমের স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি আছে দুই গন্ডা দুই কড়া। উত্তরাধিকারসূত্রে ১ লাখ টাকা মূল্যমানের নির্মিত ঘর পেয়েছেন রেজাউল।
শাহাদাতের নগদ ১৫ লাখ টাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৭ টাকা। বন্ড ও স্টক এক্সচেঞ্জে আছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০ টাকা।
শাহাদাতের মালিকানাধীন দুটি অকৃষি জমির মূল্য ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। একটি আটতলা আবাসিক ভবনের আট ভাগের একাংশের তিনি মালিক, যার মূল্য ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আর নিজের মালিকানাধীন একটি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। নগরীর বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ডা. শাহাদাত এখন থাকেন নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের একটি ফ্ল্যাটে।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক তিনি। রেজাউল করিমের স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি আছে দুই গন্ডা দুই কড়া। উত্তরাধিকারসূত্রে ১ লাখ টাকা মূল্যমানের নির্মিত ঘর পেয়েছেন রেজাউল।
নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দার বাড়ির সন্তান তিনি। এখনো পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন। নিজের নামে স্থাবর সম্পদে রেজাউলের চারটি অ্যাপার্টমেন্টের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। তার কাছে নগদ আছে ১ লাখ টাকা, স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা।
পাশাপাশি রেজাউলের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯০ টাকা। স্ত্রীর নামে প্রাইজবন্ড আছে ২০ হাজার টাকার। ৪ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কারের মালিক রেজাউল।
তার ব্যবসায়িক মূলধন নিজ নামে ২ লাখ টাকার। আর মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের সরবরাহকারী ফার্মের মূলধন ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসায়িক মূলধন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। স্ত্রীর মেসার্স চৌধুরী ইলেকট্রনিক্স নামের একটি ফার্মের মূলধন ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে রেজাউলের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর ফার্মের শেয়ার থেকে আয় ২ লাখ ১ হাজার টাকা।
পাশাপাশি রেজাউলের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯০ টাকা। স্ত্রীর নামে প্রাইজবন্ড আছে ২০ হাজার টাকার। ৪ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কারের মালিক রেজাউল।
তার ব্যবসায়িক মূলধন নিজ নামে ২ লাখ টাকার। আর মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের সরবরাহকারী ফার্মের মূলধন ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসায়িক মূলধন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। স্ত্রীর মেসার্স চৌধুরী ইলেকট্রনিক্স নামের একটি ফার্মের মূলধন ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে রেজাউলের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর ফার্মের শেয়ার থেকে আয় ২ লাখ ১ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম চট্টগ্রামের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এই নির্বাচনটি গত বছরের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারি দেখা দেয়ায় নির্বাচনটি তখন স্থগিত করা হয়।