আদিত্য বড়ুয়া।।দিঘীনালা প্রতিনিধি।।
৬ জানুয়ারী দুপুর ২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের পাশেই বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারের ছাত্রলীগের দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এতে সাংবাদিকসহ ছাত্রলীগের তিন জন আহত হন।আহতরা হলেন আরোফিন রাহাত মানিক (২৪),ইমন শিকদার (২৩), দেশ রুপান্তর সাংবাদিক নুর-হোসেন(৩৫)।
ছাত্রলীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে ছবি তুলতে যান দেশ রুপান্তর এর দীঘিনালা উপজেলা সংবাদকর্মী নুর-হোসেন, তখন ছাত্রলীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিক নুর-হোসেন কেও মারধর করা হয়। দীঘিনালা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পেরন কর হয়।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মেহেদি আলম অভিযোগ করে বলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের উস্কানিতে পরিকল্পতি ভাবে আমাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। হামলায় ৩ জন আহত হন।
অপরপক্ষে থাকা কমিটির সহসভাপতি অপু চৌধুরী বলেন, দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি এর নেতৃত্বে তার দলবল নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করার পরিকল্পনা করেন, আমরা প্রতিহত করতে গেলে আমাদের চার-পাঁচ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এসময় দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সফিক জানান উপজেলা ছাত্রলীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে আমরা বাঁধা দিই পরবর্তীতে আহত অবস্থায় ৩ জন পরে থাকতে দেখে সাথে সাথেই দীঘিনালা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
উল্লেখ যে, গত ১৪ নভেম্বর দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ এবং দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটি বাতিলের দাবীতে গাড়ি ভাংচুরসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন পদ বঞ্চিত’রা।
৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে উদ্যোগ নিলে অপর পক্ষ আলাদা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার প্রস্তুতি নেয়। পরে সকাল সাড়ে দশটায় দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, পুলিশ দুপক্ষকে শান্ত করে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে, দীঘিনালা থানা পুলিশ|
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রলীগের দু-পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে আহত ৩ জন তবে কোন পক্ষেই পুলিশ কে অভিযোগ করে নি। গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো। বর্তমান পুলিশ মোতায়েন করা আছে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।