কক্সবাজার প্রতিনিধি :
২০২১ সাল, ইংরেজি নতুন বছরের শুরু। এই নতুন বছরের দ্বিতীয দিনেও বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকের। কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীর।
পর্যটকরা বলছেন, সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে সবকিছু নতুন করে শুরু করার আশায় কক্সবাজার ছুটে আসা। তাই তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থাও নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ এবং লাইফ গার্ড।
পর্যটকরা বলছেন, সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে সবকিছু নতুন করে শুরু করার আশায় কক্সবাজার ছুটে আসা। তাই তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থাও নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ এবং লাইফ গার্ড।
সুলতানা নিগার বলেন, ‘নতুন বছরের বিশাল সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশা করছি, বিশ্ব যাতে করোনামুক্ত হয়। এছাড়া আশা করছি, নতুন বছর ২০২১ সালটা আমাদের খুব ভাল যাবে।’
ইয়াকুব-নিশো দম্পতি বলেন, ‘সুখ-দু:খ, হাসি-কান্না সবকিছু উজাড় করে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে আসা। যাতে নতুন বছরকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারি এবং এই বছর যাতে কোন প্রকার অস্বাভাবিক জীবনযাপন না করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।’
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনে লাখো পর্যটকের আগমনে মহা খুশি হোটেল মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কলাতলীর হোটেল গ্রান্ডবিচের জেনারেল ম্যানেজার শওকত ওসমান জানান, করোনার কারণে পর্যটন এলাকা গত ১৭ আগস্ট খুলে দেওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই ভ্রমণ পিপাসুরা কক্সবাজার ছুটে আসছেন। নানা দিবস ও সরকারি ছুটিতে টানা বুকিংও হয়েছে। বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকে ভরে গেছে কক্সবাজার।
তিনি বলেন, ‘অনেকে এসেছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। অনেকে এসেছেন একা। পর্যটকের উল্লাসে কক্সবাজার মুখরিত হলে ব্যবসায়ীরাও স্বস্তি পান। বিচের কিটকট থেকে শুরু করে হোটেল মালিক পর্যন্ত সকল স্থরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়। আমরা হোটেল মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং পর্যটকদের মানতে সহযোগিতা করি।’
সুগন্ধা বিচের ক্ষুদ্র খাদ্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি. সভাপতি মো. রহিম উল্লাহ বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসার খুব ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু পর্যটন ব্যবসা খুলে দেওয়ার পর থেকে আমাদের ব্যবসা আগের মতই চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা করোনাকালীন যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে পারব। আমরা পর্যকদের কল্যাণের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। দোকানে কাস্টমার এলে তাদের মুখে মাস্ক আছে কি না দেখি। না থাকলে আমরা নিজেরা পর্যটকদের ফ্রি তে মাস্ক দিয়ে থাকি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে তাদের অবগত করি। জেলা প্রশাসন আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা পালন করি।’
এদিকে বছরের প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমুদ্র স্নানের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে বলে জানালেন লাইফগার্ড কর্মীরা।
সৈকতের সি সেইভ লাইফ গার্ড সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, ‘অনেক মানুষ একসঙ্গে পানিতে নামছে। তারপরেও আমরা ভালোভাবে চেষ্টা করছি তাদেরকে অবজারভেশনে রাখতে। বছরের প্রথম দিনটা সবাই যেন, আনন্দে উপভোগ করতে পারে।’
টুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ সহকারী উপ-পরিদর্শক ক্ষিরোদ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘টুরিস্টদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করছি। এখানে আমাদের অসংখ্য টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত আছি।’
নতুন বছরকে বরণ করতে সমুদ্র সৈকতে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী ও টুরিস্ট পুলিশ।