বরকল প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলাধীন কুতু্ব উদ্দিন শাহের মাজারে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরসকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভিড় বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েকগুণ । বুধবার (৩০শে ডিসেম্বর ) সন্ধা ৬টা থেকে শুরু হয় ওরসের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার (৩১ শে ডিসেম্বর) ভোরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী উরস। এই ওরসকে কেন্দ্র করে বুধবার থেকে ভক্তরা দলে দলে মাজারে আসতে শুরু করে।
ওরসের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরপত্তা ছক চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও দরগার প্রধান ফটকে আর্চওয়ে গেট ও মাজারের আশপাশ এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়া বসিয়েছেন মাজার কতৃপক্ষ।
নিরাপত্তা কমিটির প্রধান মো আব্দুর রহিম জানায়, বুধবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা কমিটি মাজারকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। মাদ্রাশা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুলাল তালুকদার জানায়,মাজারের ভেতরে ও বাহিরে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ওরসের দরগাহ এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ।
মাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো আউয়াল সিকদার জানান, ওরসকে কেন্দ্র করে যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সকল ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি মাজার এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছবুর তালুকদার বলেন, ‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের এলাতা গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম তৎপর থাকবেন।তারা মাজারকেন্দ্রিক সকল তৎপরতা নজরদারি করবেন।’
যু্ব নেতা মো আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রেওয়াজ অনুযায়ী ওরসের দিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে মাজারে গিলাফ চড়ানো এবং তা চলে বিকাল পর্যন্ত। মাজারে প্রথম গিলাফ চড়াবেন মাজার কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য,মাহফিলের প্রধান বক্তা আলহাজ মো মামুন অত্র ভুষনছড়া ইউনিয়নের সর্বাত্মক জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান মো মামুনর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধাচরন করে কিছু কটুক্তি করলে তৎক্ষণাৎ মাজারে উপস্থিত যুবলীগের নেতা মো আরিফুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছবুর তালুকদার এবং আবুল কালাম আজাদ,আব্দুর রহিম,হযরত আলীসহ উপস্থিত জনতার প্রায় ৮০ ভাগ লোক তার প্রতিবাদ করেন।তারা উক্ত বক্তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন এবং কারো বদনাম না করে কোরআন সুন্নাহর আলোকে আলোচনা করার প্রস্তাব রাখেন।
উক্ত বক্তা তার বুজতে পেরে তৎক্ষণাৎ উত্তেজিত জনতার ক্ষমা চেয়ে নেয়।পরিবর্তিতে বক্তার পক্ষ নিয়ে মাজার কতৃপক্ষে সভাপতি দুলাল পুরো পরিচালনা কমিটি আরিফ সিকদার সহ জনতার উদ্দেশ্য ক্ষমা চেয়ে মাহফিল কার্যক্রম পুনরায় চালু করান।পরিশেষ উভয়ের সহযোগীতায় শান্তিপুর্ন পরিবেশই মাহফিলটি সম্পন্ন হয়।