রাঙামাটি নিউজ ২৪ ডটকম
২৬ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে চট্টগ্রামে কর্মরত সকল বিজ্ঞ বিচারক ও বিজ্ঞ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণি, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজগণ, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজগণ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ মো. ছাবেদুর রহমান, সহসভাপতি মো. আজিজুল হক চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কবির হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মঈনুল আলম চৌধুরী (টিপু), পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর (সানজিক), সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক রুনা কাশেম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. ইমরুল হক মেনন, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে, তানজিন আক্তার সানি, মুহাম্মদ শফিউল আজম বাবর, নাসরিন আক্তার চৌধুরী, মো. রবিউল আলমসহ বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী।
ফুলকোর্ট রেভারেন্স শেষে সমিতির ৩নং মিলনায়তনে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন, সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কবির হোসাইন।
সভায় মরহুম বিজ্ঞ সদস্যদের কর্মময় জীবন স¤পর্কে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুজিবুল হক, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ হাশেম, মো. আবদুর রশীদ, আইয়ুব খান, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, অন্যান্য বিজ্ঞ আইনজীবীদের মধ্যে মুহাম্মদ নজমুল হক, ফৌজুল আমিন চৌধুরী, কাশেম কামাল, আবদুল আল মামুন, রবিউল হোসেন নয়ন, নজরুল ইসলাম, মো. বদরুল রিয়াজ, মঞ্জুরুল আজম চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
রেভারেন্সে সভাপতির বক্তব্য জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ও আইনের চর্চায় আইনজীবীদের ভূমিকা অর্নস্বীকার্য। একটি আরেকটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। বার ও বেঞ্চের মধ্যে এজন্য সুসর্ম্পক রাখা আবশ্যক। আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে সম্পাদন করা কোনভাবেই সম্ভব না। বিচার বিভাগকে সমুন্নত করার কাজে আইনজীবীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আজকে যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তারা আমাদের অত্যন্ত আপনজন ছিলেন। তাদের পদচারণায় চট্টগ্রামের আদালত অঙ্গন একদিন মুখরিত ছিল।
রেভারেন্সে সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার আহমদ বলেন, সমিতির ৩১ জন বিজ্ঞ সদস্যরে মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁদের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। বিচার অঙ্গনে বিজ্ঞ আইনজীবীগণ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পবিত্রভাবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাজ করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীরা অনন্য সাধারণ ভ’মিকা রাখছেন। যার ফলে বিচার বিভাগে সুবাতাস বইছে।
স্বাগত বক্তব্য আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন বলেন, যে সকল বিজ্ঞ আইনজীবী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাদের সকল কর্মকান্ড অনুসরন ও অনুকরন করতে হবে। করোনাকালীন সময়ে আমাদের যে ৩১ জন বিজ্ঞ সদস্য যারা আমাদের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন যাঁরা বেঁচে থাকতে সমাজ ও দেশের সেবায় স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের গৌরবময় অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
এছাড়া সভায় বিজ্ঞ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সদগতি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সমিতির পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর সানজিক এবং গীতা পাঠ করেন সমিতির সাবেক নির্বাহী সদস্য শুভাশীষ শর্মা, মোনাজাত পরিচালনায় ছিলেন সমিতির সিনিয়র সদস্য মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী। রেভারেন্স শেষে চট্টগ্রামের সকল আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।