ডেক্স রিপোর্ট :রাঙ্গামাটি নিউজ২৪ ডটকম ।।
মো:মোশারফ হোসেন ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে সাড়া দিয়ে দেশকে বাচাতে নিজের ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ তার এই অসামান্য অবদানের কথা কখনো ভূলবো না।
কিন্তু অত্যন্ত দূ:খের বিষয় যে দেশকে বাচাতে সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করলেও পায়নি তার যথেষ্ট সন্মান,তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৭১ সালে তিনি অনেকবার মুক্তিযোদ্ধাদের কে সঙ্গে নিয়ে ৬নং সেক্টর কমান্ডার ও গেরিলা কমান্ডার এর নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন,দেশ স্বাধীনের পর পেটের দায়ে কর্মের জন্য চলে আসেন সদূর রাঙ্গামাটিতে।এখানে এসে তিনি তার জীবন সংগ্রাম শুরু করেন,পেয়েছেন অপমান লান্চনা,তারপরো তিনি থেমে থাকেন-নি।
বর্তমান নানিয়ারচর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়ার পরামর্শে তিনি তার পঞ্চগড় সেক্টর কমান্ডার ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ আলোচনা করে রাঙ্গামাটি থেকে পঞ্চগড়ে রওনা দেন।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাষ যে,এই বীর সেনানীর আর যাওয়া হলো না পন্চগড়ে।বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ থাকায় হঠাৎ ষ্টক করেন, ২৫/১২/২০ বিকাল ৩ ঘটিকায় মারা যান ।তার বয়স ৬৮ বছর, পুত্র সন্তান একজন,কন্যাসন্তান একজন ও স্ত্রীকে ইহলোকে রেখে পরোপাড়ে পাড়ি জমান।
এই মহান মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী রহমান (তিন্নি)সহ নানিয়ারচর থানা ইনচার্জ সাব্বির রহমান এবং অ্যাডভোকেট মামুন ভূইঁয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি উপস্থিত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি রহমান (তিন্নি) ২৫/১২/২০ইং সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে সরকারি ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।এবং ধর্মীয় রীতি মেনে বুড়িঘাট ১নং টিলার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এই সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার তার বক্তব্যে জানিয়েছেন,বুড়িঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নেই কোন স্মৃতিস্থম্ভ,তাই সরকারের প্রতি বীরসেনাদের স্বরনে বুড়িঘাটে একটি স্মৃতিস্থম্ভ গড়ার দাবি জানিয়েছেন।
এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকমান্ডসহ এলাকাবাসী সকলে পরিবারের প্রতি গভীর সমোবেদনা জানিয়ে একমিনিট নিরাবতা পালন ও ফুল দিয়ে শ্রোদ্ধা নিবেদন করেন।এই মহান বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রইল বিনম্র শ্রোদ্ধা ও হাজারো সালাম।