লেখক: আয়েশা সিদ্দিকা
শিক্ষার্থী:২য় বর্ষ,রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন
রাত পোহালো বড়দিন
সাজবে শহর,সাজবে চার্চ
কাটবে কেক হরেক রকম।
ঝোলা কাধেঁ, স্যান্টা দাদু
আসবে অনেক উপহার নিয়ে
মাথার কাছে রুমাল রেখে
ঘুমায় শিশু সেই আশাতে।
২৫ ডিসেম্বর দিনটা আসলে দৈর্ঘ্যে ততটা বড় নয়,তবে রাতটা বেশ বড় ও দীর্ঘ। বাংলাদেশের খ্রিস্টনধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে বড় দিন বলে, কারণ এ দিনে যিশুখ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন।তাই যিশুর দর্শনে বিশ্বাসী মানুষের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন ও বড় দিন।তাদের বিশ্বাস যিশু ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে মানবমুক্তির বার্তা দিয়েছিলেন।পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলে একটি কথা আমাকে বেশ অনুপ্রেরিত করেছে তা হলো,তোমার এক গালে যদি কেউ চড় মারে,তোমার অন্য গালটি পাতিয়া দিয়ো।আসলে তিনি যুদ্ধ- বিরোধী ও শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন।
খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস যিশু মানবমুক্তির পথ দেখিয়েছেন প্রেম ও অহিংসার মধ্য দিয়ে।অহিংসার প্রমাণ দিয়েছেন ক্রুশবিদ্ধ হয়ে।যিশুর জীবন পৃথিবীর জন্য,মানুষের জন্য এটি একটি বার্তা।তাই খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বীদের কাছে যিশু একজন ‘শান্তির চেতনা’।এমন একজন মানুষের জন্মতিথিতে তাকেঁ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
সবশেষে, আমার এবং আমাদের পত্রিকার সকল সদস্যের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি যিশুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা।