রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার পীর মুনিরউল্লাহসহ তার সংগঠনের জঙ্গি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সারা দিন সমগ্র রাউজানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুসরণ করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে মিছিল সহকারে যোগ দেয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ।
এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে মুনিরীয়ার সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, মামলা নির্যাতন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। তরিক্বতের নামে তারা রাউজানে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর শান্তির জনপদে তাদের অরাজকতার বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ট হয়ে তাদেরকে রাউজান থেকে বিতাড়িত করেছে। এখন তারা নগরে বসে নতুন করে রাউজানে প্রবেশের চক্রান্ত করছে। তাদেরকে আর রাউজানে প্রবেশ করতে দেবেনা জনতা।
বুধবার সকালে উপজেলা সদরের মুন্সিরঘাটায় এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সি.সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম।
সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন ইমুর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাউজান পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এসএম বাবর,মাহাবুবুল আলম, গাউসিয়া কমিটির উত্তর জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মুছা আলম খান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা তপন দে, ফোরকান উদ্দিন টিপু, আলমগীর আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। এদিকে মুনিরীয়া বিরোধী এই মাননবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারি করতে রাউজানে ছিলেন জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা।
ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, প্রিয়তোষ চৌধুরী, লায়ন সাহাবুদ্দীন আরিফ,নুরুল আবসার বাশি, সরোয়ার্দি সিকদার, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, বাবুল মিয়া মেম্বার, তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুর রহমান লালু।
পৌরসভায় নেতৃত্ব দেন কাউন্সিলর বশির উদ্দিন খান, কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত,শওকত হাসান,এডভোকেট দীলিপ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী।