মো:নাজমুল হোসেন রনি:
নানিয়ারচর উপজেলার বড়পুল পাড়ার কয়েকটি গ্রামের যাতায়াতের মাধ্যম হলো বাঁশের তৈরী করা একমাত্র এই বাঁশের সাঁকো ও ভাঙা বেইলি সেতু। একটানা প্রবল বৃষ্টিপাত বা ৩০-৪০ মিনিট টানা বৃষ্টি হলেই পাহাড়ী ঢলের পানি নেমে এসে যাতায়াতের পুরো ডুবে যায় পারাপার হতে অনেকটা ভোগান্তিতেই পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অনেক সময় পানি না কমলে অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
স্থানীয় সূত্রে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২/৩ টি গ্রাম মিলেই নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে বাঁশ দিয়ে তৈরী করা সাঁকো ও পারাপার বা চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হল ভাঙা বেইলি সেতু। এ সাঁকো ও বেইলি সেতু দিয়ে সদর উপজেলাসহ কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন।
তাছাড়া এই রাস্তা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। বর্ষা ও শীত মৌসূমেই সাঁকোটি নিরূপায় হয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করতে হয়। বয়োবৃদ্ধদের জন্য চলাচলে মারাত্বকভাবে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাঁশের দ্বারা তৈরীর সাঁকোটি বছরে কমপক্ষে দুই বা তিনবার মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। তাই একবার মেরামত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। যে টাকাগুলো বিগত বছরে এ সাঁকোর জন্য টাকা খরচ করা হয়েছে তাতেই এলাকাবাসীদের অর্থায়নের এই টাকা দিয়ে ভালোমানের একটি ছোটখাটো কালভার্ট তৈরী করা যেত, এলাকাবাসীদের কথা বিবেচনা করে একটি ছোট আকারে ব্রীজ বা কালর্ভাট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভই হয়নি।
এব্যাপারে বক্তব্য নিতে নানিয়ারচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি)রনি সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে,অফিসে তালা দেওয়া থাকলে মুঠোফোনে কল করলে রিসিভ/ কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের বিমল চাকমার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রাস্তার বেহাল দশা সেতু মেরামত ও কালর্ভাট প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অন্ততপক্ষে অনেকগুলো গ্রামের যাতায়াতকারী এলাকাবাসী এ সুবিধা থেকে কষ্টের লাঘব হবে ।
এব্যাপারে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানিয়েছেন,অত্র ইউনিয়নের জনগন অনেক কষ্টে যাতায়াত করছে,আমি ব্যাক্তিগতভাবে চাই খুব তাড়াতাড়ি কতৃপক্ষ যেন বিষয়টি নজরে এনে কার্য সম্পাদন করে।