বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মহালছড়ি সরকারি কলেজ হতে ২কিলোমিটারের অভ্যন্তরে দূরছড়ি নামক স্থানে আজ ০৯ আগস্ট ২০২১দিবাগত রাত ৩.৩০ ঘটিকায় আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অপারেশন দল অভিযানে ইউপিডিএফ(মূল)এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বিরাজ মনি চাকমা(৩৮) নামে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। বিরাজ মনি চাকমা (৩৮)দীর্ঘদিন যাবৎ দূরছড়ি নামক এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল।
এ বিষয়ে মহালছড়ি সদর জোন কমান্ডার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র সদস্যরা অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে অত্র জোনের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় করছে এবং ভবিষ্যতে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ফলশ্রুতিতে অত্র জোন কর্তৃক নিয়মিত অপারেশন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে অত্র জোন কর্তৃক অপারেশন পরিচালনা করা হলে উল্লেখিত চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। জোন কমান্ডার আরো বলেন
অপরাধমূলক ও পাহাড়ে সংগঠিত অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তি এবং পরিকল্পনা গ্রহনকারীদেরকে জোনের আওতাধীন এলাকায় কোন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেয়া হবে না এবং এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
২০১৮ সালে আটককৃত সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিরাজমনি চাকমা আলোচিত তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এছাড়াও মহালছড়ি এবং নানিয়ারচর থানার একাধিক মামলায় তিনি ওয়ারেন্ট ভূক্ত পলাতক আসামী। তিনি অন্যতম আসামি যা চলমান রয়েছে। সে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর জিওর নাম্বার ১১৪/১৮ ধারা ১৪৮/ ১০৯/ ৩২৪/ ৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ প্যানেল কোড ১৮৬০ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
বিরাজ মনি চাকমা কে গ্রেপ্তার করার পর তল্লাশি পূর্বক তার কাছ ঘটনাস্থল থেকে একটি চায়না পিস্তল, ০৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ০১টি মোবাইল ফোন(বাটন), ০১টি ক্রস ব্যাগ (অস্ত্র বহনে ব্যবহৃত), চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান শেষে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীকে মহালছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে মহালছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।