রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বাবাহারা এতিম ভিক্ষুক মায়ের সন্তান কিশোরী আয়েশা হাতে পচন ধরে পোকা ধরে গিয়েছিলো ৷ বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ঘরে বসে কাদছিলো ৷ বিষয়টি আমাদের মানবিক পুলিশ ইউনিটের নজরে আসলে আমরা তাকে রাঙ্গামাটি থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার দায়িত্ব নেই ৷ এবং চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অপারেশনের তারিখ নির্ধারিত হলে আয়েশার মানসিক সমস্যার কারনে তাকে ডাক্তাররা মেন্টাল ওয়ার্ডে রেফার্ড করে ,
মেন্টাল ওয়ার্ডে আয়েশা পাগলামী করলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দুইমাস পরে আসতে বলে ৷ কিন্তু আয়েশার হাত পছে অলরেডী পোকা পড়ছিলো মেয়েটি যন্রনায় কাতরাচ্ছে ৷ তাহলে কি আমরা মানবিক পুলিশ ইউনিট হেরে গেলাম ……….?
না আমরা চট্রগ্রামের বেশ কয়েক প্রাইভেট হাসপাতালে যোগাযোগ করি সবাই ৪৫-৫০ হাজার টাকা চায় অপারেশনের জন্য ৷ তবে হলি হেলথ প্রাঃ ক্লিনিকের একজন মানবিক ডাক্তার আমাকে এবং আমাদের মানবিক পুলিশ ইউনিটকে ভালবেসে সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকায় রাজি হয় ৷ অবশেষে মানবিক পুলিশ ইউনিটের খরচে ২০ হাজার টাকায় আয়েশার অপারেশন হয় এবং তার কব্জি কেটে বাদ দেওয়া হয় ৷
আয়েশাকে অপারেশন পরবর্তী সকল ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে মানবিক পুলিশ ইউনিটের গাড়ীযোগে তাকে পৌছে দেওয়া হয় বাড়িতে ৷ উল্লেখ্য প্রায় ২০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়েশার সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা ,পথ্য,খাবার,ঔষধ,অপারেশন সহ যাবতীয় খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি বহন করে ৷ এছাড়াও আয়েশাদের একটি বাড়ি তৈরি এবং আয়েশার বিয়ের খরচ মানবিক পুলিশ ইউনিট বহন করবে ৷
বাবাহারা চির দুঃখি ভিক্ষারী মায়ের সন্তান আয়েশার চোখের পানি মুছতে বদ্ধপরিকর আমরা মানবিক পুলিশ সদস্যরা ৷ হাসো বোন হাসো আমরা জেগে আছি ,
শওকত হোসেন—{ মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি }
সংগৃহীত: মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি ফেসবুক পেইজ থেকে।