চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ৭৫ লট। আগামী ২১ ডিসেম্বর এনিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ১২৭ লট পণ্য নিলামে তোলার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ৫৪ লট পণ্য নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। বাদ দেয়ার তালিকায় জাপানের তৈরি নয়টি গাড়িও ছিল। এবারের নিলামের তালিকায় কোনো গাড়ি নেই। নিলাম প্রক্রিয়া অংশ হিসেবে আজ থেকে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী)। কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৭৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, এক্সেসরিজ, ইলেক্ট্রনিঙ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পেপার ও পেপার সামগ্রী, হার্ডওয়্যার, টেঙটাইল পণ্য, বিভিন্ন মেশিনারিজ, সিরামিক আইটেমস, এ্যানিমেল ফিড ইত্যাদি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামের জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন পণ্যের ৭৫ লট।
মোঃ সিরাজুল মনির
ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম।
করোনা ভাইরাসের ধাক্কা সামাল দিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে সকল কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা ও নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলস্থ শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। নিলামের দরপত্র ২১ ডিসেম্বর বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলস্থ শুল্ক আবগরী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) কার্যালয়ে। একইদিন বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাঙ খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনূকুলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দেবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিলাম পরিচালনা করে আসছি। এছাড়া নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করে নিলাম শেডের জায়গা খালি করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ ডিসেম্বর ৭৫ লট পণ্য নিলাম তোলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এসময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এ নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস।
এতে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।
Leave a comment
Leave a comment