মোঃ আজগর আলী খান রাঙ্গুনিয়া থেকে ফিরে……
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন এর ব্যতিক্রম উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এমপি পক্ষে ভি.জি.এফ এর চাল বিতরণ করেছেন।
হোসনাবাদ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ-উপহার নিজ হাতে পৌঁছে দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন।
রবিবার(১৮জুলাই)সকালে হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ভি.জি.এফ চাল বিতরণ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন। পরে তিনি হোসনাবাদ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘাগড়া খীলমোগল, জান মোহাম্মদ পাড়া, নজুরু পাড়া, খনর খীল, গোদার পার, দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর মাইজ পাড়া, মোগলের হাট, লালশাহ পাড়া, বাদশা মাঝির গোনা এলাকায় গিয়ে মোট ৩৯৫জনের ঘরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া একব্যক্তি বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এবং রাঙ্গুনিয়া সাংসদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সহায়তা পেয়েছি আজ হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজে এসে আমাদের ঘরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দিয়েছে। আমি আমার জীবনেও ভাবিনি যে চেয়ারম্যান এসে আমার ঘরে চাল দিয়ে যাবে।
আমরা আগে চালের জন্য পরিষদের মাঠে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো কিন্তু আজ ঘরে চাল পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম। এসময়ে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার দেওয়া চাল ঘরে পৌছে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় সহ হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের প্রিয় অভিভাবক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় করোনা মহামারীতে ৩৯৫জনকে একসাথে সমাগম না করে আমার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার ওয়ার্ড আ.লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও মহিলা মেম্বারদের সহযোগিতায় আমি নিজেই ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। আমি আমার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে করোনা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমার দরজা আমার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্য সব সময় খোলা ছিলো এবং করোনা মহামারীতে আমি সাধারণ মানুষের মাঝে সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
করোনার এই মহামারীর ছোবল থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচতে এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় যার ফলে সরকার ও ইউনিয়ন’ পরিষদের সেবার প্রতি আস্থা বাড়ছেন বলে মনে করছেন সচেতন মহলরা।