llমোঃ আলী আকবর llসাতকানিয়াll
২১ বছর পর বহুল আলোচিত সাতকানিয়ার আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যা মামলার রায় ১৩ ডিসেম্বর প্রতিকাশিত হয়েছে,রায়ে ১০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ৪ জনকে খালাস প্রধান করেন মাননীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত । সূত্রে যানাযায় চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নং সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা
আমজাদ হোসেন। কিছু দুষ্কৃতকারী ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাত ১২ দিকে মীর্জাখীল দরবার শরীফের ওরশ চলাকালীন সময়ে দরবার শরীফের উত্তর গেইট চাইয়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় দুষ্কৃতকারীর দলটি চেয়ারম্যান কে উপর্যুপুরি গুলি করে দরবার শরীফের গেইটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।উক্ত হত্যা কান্ডের পরদিন ৪ অক্টোবর ১৯৯৯ নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী সৈয়দা রোশনা আকতার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে ৩০২ ও ৩৪ ধরায় সাতকানিয়া থানায় ৪ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে একটি হত্যামা মলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করেন পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য ন্যস্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তা ২০০০ সালে ২২ ডিসেম্বর ২০ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলাটি ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে এসটি ২৫৮/ ০৪ নাম্বার হিসেবে বালামভূক্ত হয়।
২০০৪ সালের ২৫ শে অক্টোবর ২০ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে প্রেরণ করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে ২১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ গ্রহণক্রমে নির্দিষ্ট মেয়াদেও মধ্যে বিচার কার্যক্রমস মাপ্ত না হওয়ায় পুনরায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে ফেরত আসে। ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচার কার্যক্রম নিষ্পত্তি না হওয়ার ফলে আরেক আদেশে পুনরায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুানালে স্থান্তারিত হয়। ২০০৫ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৯ ই মার্চ পর্যন্ত ২১ জন স্বাক্ষীর জবান বন্দি রেকর্ড করা হয়। উক্ত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার নিষ্পত্তি না হওয়ায় পুনরায় অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতে ফেরত আসে। উক্ত আদালতে বিচার নিস্পত্তি না হওয়ার ফলে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এক আদেশে বিচার নিস্পত্তির জন্য পুনরায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৬ষ্ঠ আদালতে ২০১৪ সালের১৭ ই এপ্রিল প্রেরণ করা হয়। উক্ত আদালতে আসামীদের ৩৪২ ধারা পরীক্ষা সমাপ্ত করে, পরে উক্ত আদালত বদলী হওয়ায় কারণে উক্ত আদালত বিচারক শূন্য হয়। পরে উক্ত আদালত বিচারক শূন্য থাকার ফলে ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব পান ৪র্থ আদালতের বিচারক । উক্ত আদালত ২০১৯ সালের ২৭ ই নভেম্বর পর্যন্ত
অধিকতর যুক্তি তর্ক সম্পূর্ণ হয়।পারে ২০২০ সালের ৬ ই ফেব্ররুয়ারী পুনরায় শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেন। পরে এ বছরের প্রথমার্ধে মামলার বাদী পক্ষে বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ মাননীয় ইসমাঈল হোসেনের আদালতে এক আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে এক আদেশে এ বছরের প্রথমার্ধে পুনরায় বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করা হয়। উক্ত ট্রাইব্যুনালে করোনার কারণে ৪ মাস বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গত তিন মাস পূর্ব হতে;অল্প সময়ের ব্যবধানে তারিখ ধার্যের মাধ্যমে সর্বশেষ গত মাসের ১১ ই নভেম্বর চার্জগঠনভূক্ত ২০ আসামীর মধ্যে উক্ত তারিখে আদালতে উপস্থিত ১০ আসামীকে জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন মাননীয় আদালত। এবং গত মাসের ২৬ তারিখে মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।
পরবর্তী চলিত মাসের ৭ তারিখে ধার্যহয়। পরবর্তীতে আবার ১৩ ডিসেম্বর অথাৎ রবিবার দিন ধার্য হয়। ঐ দিন রায় ঘোষণা হল। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন । আদালত সূত্রে জানাযায় ১ নং নাম্বর আসামী লুৎফর রহমান চৌধুরী মৃত্যু বরণ করেন। রায় ঘোষণার সময় যে ১০ আসামী উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, হলেন সাতকানিয়া সদর আসেনর ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন রফিক, ইদ্রিস পিং ইব্রাহিম,জাহেদ, ঠোট কাটা মানিক, আবু মো. রাশেদ, ফোরক আহমদ, হারুনুর রশিদ, জিল্লুর রহমান, আবু তাহের ও উক্ত মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক ৯ আসামীরা হলেন, বশির আহমদ, ইদ্রিস পিং সাহেব মিয়া, তারেক, আইয়ুব, মোর্শেদুল আলম, আবদুল মালেক,জসিম উদ্দিন, খায়ের আহমদ, মো. মোস্তাক।