ইব্রাহীম বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি :-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুহাব্বত অন্তরে ধারণ ও আমলে প্রতিফলন ঘটানো আশেকে রাসূলগনের বৈশিষ্ট্য। শরীয়তকে বিসর্জন দিয়ে অবাধে নারী-পুরুষের বিচরণ কখনো তাকওয়াপূর্ণ তরিক্বত হতে পারে না। শরিয়তের পাশাপাশি তরিক্বতের অনুশীলন করতে হয়; শরীয়তকে বাদ দিয়ে তরিক্বত কখনো পূর্ণাঙ্গতা পায় না।
তাই কাগতিয়া দরবারে শরীয়তের পাশাপাশি তরিক্বতের দৈনন্দিন আমল এর মধ্যে অন্যতম আমল দৈনিক ১১১১ বার দরুদ শরীফ আদায়। এছাড়াও আহলে বাইতের মুহাব্বতে দৈনিক ১২৫ বার দরুদ শরীফ আদায় করতে হয়। এসব দরুদ শরীফ কোন কারনে ক্বাজা হলে ২৪ ঘন্টার আগেই তা আদায় করে দিতে হয়।
অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১৪৩ নং মারিশ্যা (বাঘাইছড়ি) শাখার উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম স্মরণে মঙ্গলবার বাদে আসর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সস্হ স্হায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এশায়াত মাহফিল’র প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্টাক্টর ও তরিক্বতের কেন্দ্রীয় এশায়াত পরিষদের সদস্য ইসলামী গবেষক ও আলোচক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।
মুহাম্মদ লুৎফর রহমান রাজীব’র পরিচালনায় আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন এফ ব্লক বাইতুন নূর জামে মসজিদের খতিব ও সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আমিনুল হক মুনিরী।
এশায়াত মাহফিলে গৃহীত কর্মসূচিসমূহঃ পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, হামদ-নাত-কছিদা পাঠ, আয়াতে শেফা পাঠ, ফাতেহা শরীফ আদায়, দোয়া ইউনুছ-জিকির-দরুদ শরীফ আদায়, আলোচনা সভা, ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের জন্য দোয়া এবং মিলাদ-কিয়াম-মুনাজাত।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সংগঠনের এশায়াত সম্পাদক ও দিঘীনালা-বাঘাইহাট সমন্বিত সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক মাওলানা মুহাম্মদ বশির উদ্দিন আনছারী বলেন, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের তরিক্বতে ফরজ-ওয়াজিব কার্যাদি যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি সুন্নাহ-নফল এবাদতঃ নিয়মিত তাহাজ্জুদ, জিকিরে জলী, মোরাকাবা, দৈনিক ১১১১ বার দরুদ শরীফ আদায়, ১২৫ বার আহলে বাইতের মুহাব্বতে দরুদপাঠ, সালাতুল এশরাক, সালাতুল তাওবা, সালাতুল হাজ্বত, সালাতুল শোকর, কোরআন তেলওয়াত, তাহলিল, আয়াতে শেফা, খতমে খাজেগান ইত্যাদি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে প্রতিনিয়ত আদায় করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহল্লার প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব আহম্মদ মিয়া চৌধুরী, উগলছড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আতাউর রহমান, বটতলী জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুর রহমান, আছদ আলী জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, ডাঃ মাওলানা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইমাম পাড়া মসজিদের সহকারী ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা পরিষদ ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ, মুহাম্মদ আব্দুল কাদের সওদাগর, মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান মাষ্টার, মুহাম্মদ সোলাইমান বাদশা মাষ্টার, মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আজিজুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক, হাফেজ মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহআলম প্রমুখ।
মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ জাতির উন্নতি-অগ্রগতি কামনায়, বিশেষত ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের কল্যাণে এবং কাগতিয়া তরিক্বতের রাহবার আওলাদে রাসূল অধ্যক্ষ হযরত শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব সহ উপস্হিত সকলের হায়াতে খিজরী ও সুস্হতা কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান